বাড়ছে ভোটকেন্দ্র্র-বুথ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা

একইদিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন ইতোমধ্যে প্যানেল তৈরির কাজ শুরু করেছে জেলা নির্বাচন অফিস

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একইদিনে হওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রকক্ষ (বুথ) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচনের জন্য সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ভোটকেন্দ্র, বুথের সংখ্যা এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা নির্ধারণ করেছে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিস। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাড়তি ভোটকক্ষ ও কেন্দ্র এবং বাড়তি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা ভোটকেন্দ্র এবং কক্ষ সংখ্যা আগে যা নির্ধারণ করেছি এখন আরও বাড়বে। গণভোটও একই দিনে হওয়াতে আবার কেন্দ্রের সংখ্যা এবং কক্ষের সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।

আগে একটি নারী বুথে ৫০০ জন এবং পুরুষ বুথে ৬০০ জনকে ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন যেহেতু দুটি ভোট (গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের ভোট) একই দিনে, তাই প্রতিটি বুথে ভোটার সংখ্যা কমানো হবে। তাই বুথের সংখ্যা বেড়ে যাবে। বুথের সংখ্যা বাড়লে কেন্দ্রও বাড়বে। আর বুথ এবং কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়লে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) সংখ্যাও বাড়বে। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণের জন্য আমাদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা লাগবে ৪৩১০২ জন। এরমধ্যে আমরা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে ৪৫ হাজার তালিকা প্রস্তুত করেছি। এখন এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের জন্য ১৯৬৫টি ভোটকেন্দ্র এবং ১২৩৮৭টি ভোটকক্ষ (বুথ) চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, ১২৩৮৭টি বুথের মধ্যে পুরুষ বুথের সংখ্যা ৫৮৪৫টি এবং মহিলা বুথের সংখ্যা ৬৬৪২টি। এরমধ্যে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৫৭টি।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতকৃত ভোটকেন্দ্রেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসাররাই গণভোটের দায়িত্ব পালন করবেন। শুধুমাত্র পূর্ব নির্ধারিত সংখ্যা বাড়বে।অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই ‘গণভোট অধ্যাদেশ২০২৫’এর খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে। একই দিনে দেশের প্রায় ১৩ কোটির বেশি ভোটার দুটি করে ভোট দিবেন। গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একই দিনে দুই নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। এরপরই গণভোটের অধ্যাদেশ তৈরির কাজ শুরু করে সরকার। গত মঙ্গলবার সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশের খসড়া নীতিমালা অনুমোদন পায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে জেলা আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা