বাস্কেটবলে সাফল্য পাওয়া কঠিন মনে করছেন না আজম-প্রসেনজিত

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৯ জুলাই, ২০২৪ at ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

বাস্কেটবলটা চট্টগ্রামে সৌখিন একটি খেলা। বলতে গেলে কিছু ইংলিশ স্কুল আর কিছু ক্লাব এই খেলাটি খেলে। সাধারণ মানুষের কাছে বাস্কেটবল তেমন পরিচিত বা জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। তাইতো ইতোপূর্বে চট্টগ্রামে বস্কেটবলেল যে সব লিগ এবং টুর্নামেন্ট হয়েছে তা কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। কারণ এই খেলাটির পর্যপ্ত খেলোয়াড়ই নেই চট্টগ্রামে। জাতীয় পর্যায়ে সেই ২০১৮ সালে একটার সাফল্য পেয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা দল। এরপর থেকে আর কোন কিছু পায়নি। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যেসব লিগ বা টুর্নামেন্ট তা মানুষের মাঝে তেমন আলোডন তুলতে পারেনা। কিন্তু বছরের পর বছর হয়ে আসছে কিছু লিগ এবং টুর্নামেন্ট। এবার সময় এসেছে সে ধারা থেকে বেরিয়ে আসার। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্কেটবল সাব কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় আলি আজম জানালেন চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। আন্তরিকতা থাকলে সবই সম্ভব। অর্থের সংস্থান করা গেলে সবই সম্ভব। সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব গঠিত বাস্কেটবল সাব কমিটির চেয়ারম্যান এবং সম্পাদক দুজনই সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড়। তাই তাদের উপর বিশ্বাসটা একটু বেশি জেলা ক্রীড়া সংস্থার। এই আস্থার প্রতিদান দিতে প্রস্তুত দুজন। কমিটির চেয়ারম্যান আলি আজম জানিয়েছেন যে কমিটি আসলে দেওয়া হয়েছে সেখানে বাস্কেটবল খেলোয়াড়ই বেশিরভাগ। সবাই যেহেতু খেলাটি বুঝে তাই সামনের পথ চলায় আমাদের কঠিন হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন আমরা এখনো বসতে পারিনি। আমরা যদি প্রথম সভায় বসতে পারি তাহলে একটি পরিকল্পনা নিয়ে নিতে পারব। বাস্কেটবলতে এগিয়ে নিতে হলে সবার আগে যেটি লাগবে তা হচ্ছে একটি কাভার কোর্ট। যেখানে সারা বছরই অনুশীলণ করা যাবে। সাগরিকায় তেমন একটি কোর্ট আমরা পাচ্ছি। সেটিকে যদি কাভার্র্ড করতে পারি তাহলে আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন এটা ঠিক যে বাস্কেটবল খেলতে লম্বা ছেলে লাগে। এখনকার ছেলেরা অনেক লম্বা। তারা খেলতেও আগ্রহী। কিন্তু আমরা তাদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারছিনা। সবচাইতে প্রথম যে কাজটা আমাদের করতে হবে সেটা হচ্ছে লম্বা কিছু ছেলে বাছাই করতে হবে। তিনি বলেন আমার সাথে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি স্কুলের কথা হয়েছে। যারা বাস্কেটবল খেলাটি চর্চা করে। তারাও চায় তাদের ছাত্ররা বাস্কেটবল খেলুক। আমাদের উচিত হবে তাদেরকে সংগ্রহ করা। এরপর তাদেরকে অনুশীলনে মনযোগী করা। লিগ কিংবা টুর্নামেন্ট যাই করেন আপনাকে আগে খেলোয়াড় সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন আমাদের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে চট্টগ্রামের সবগুলো স্কুল, ক্লাব আমাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমাদেরকে সেটা কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন আমার কমিটিতে যাদের দেওয়া হয়েছে তাদরে নিয়ে আশা করছি সেটা করতে পারব। কমিটির সম্পাদক প্রসেনজিত দত্ত রাজু নিজেও একজন সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড়। তিনি বলেন আসলে আমাদের কমিটির সভাপতি একজন অত্যন্ত সহযোগী মনোভাব সম্পন্ন মানুষ। তার নির্দেশনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। যেহেতু নিজে খেলোয়াড় ছিলাম তাই খেলাটির উন্নয়নে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। আমরা প্রথমে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। যেহেতু সবকিছু নতুন করে হয়েছে তাই আমাদের শুরুটাও করতে হবে নতুন করে। এই যেমন আমরা নতুন একটা কোর্ট পাচ্ছি। এটি একটি বড় সহায়ক শক্তি। এটিকে যদি কাভার্ড করা যায় তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য বড় পাওয়া। তাহলে আমরা নিজেদের মত করে প্রশিক্ষণটা করাতে পারব। আসলে প্রশিক্ষনের কোন বিকল্প নেই। সঠিকভাবে যদি আমরা প্রশিক্ষণটা চালাতে পারি তাহলে অন্তত তিন চার বছরে চট্টগ্রাম থেকে অনেক খেলোয়াড় সৃষ্টি করা সম্ভব। আমাদের স্কুল গুলোতে অনেক মান সম্মত খেলোয়াড় রয়েছে। তাদেরকে সঠিকভাবে তুলে আনতে হবে। পাশিাপাশি লিগ এবং টুর্নামেন্ট গুলোও চলবে। আশা করছি আগামী তিন/চার বছরে আমরা ভাল কিছু উপহার দিতে পারব। আলি আজমকে চেয়ারম্যান এবং প্রসেনজিত দত্ত রাজুকে সম্পাদক করে গঠিত বাস্কেটবল কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে গোলাম মহিউদ্দিন হাসান, সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর, রায়হান উদ্দিন, আরিফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং কাউসারুল মতিনকে। তিনজন যুগ্ম সম্পাদক হলেণ আসিফ আহমেদ, আনজুমান আরা বেগম এবং ফজলে রাব্বান সুইট। কমিটির সদস্যরা হলেন শাহেদ সাকি, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, রনি, মারিয়া চক্রবর্তী, খোরশেদ আলম টিটু, নিউটন ডি সিলভা, আবদুল কাইয়ুম সুমন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোপার আরেকটি ফাইনালে যেতে আর্জেন্টিনার বাধা কানাডা
পরবর্তী নিবন্ধফুটবলের দল বদলের দ্বিতীয় দিনে উত্তাপ ছড়াল মুক্তিযোদ্ধা