নগরীর বন্দর থানা এলাকা থেকে মো. সোলায়মান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সোলায়মান বন্দরের শ্রমিক ছিলেন। তিনি পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের মৃত ইসমাইল সওদাগরের ছেলে। গতকাল রোববার সকাল ৮টায় বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকার একটি কলোনির ভাড়াঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছন বন্দর থানার ওসি জাহেদুল কবির।
ওসি বলেন, রোববার সকালে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে জানালার গ্রিল কেটে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। ঘরে ঢুকে লোহার এ্যাঙ্গেলের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে– কয়েকদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আরো বলেন, নিহত সোলায়মানকে তার প্রতিবেশীরা সর্বশেষ দেখেছিল ২৬ তারিখ। এরপর রোববার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। উদ্ধারের পর মরদেহ দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাবা ২০ বছর ধরে আমাদের থেকে আলাদা থাকেন। তিনি নোয়াখালী থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। তিনি গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় তাদের সাথে থাকতেন। আমাদের সাথে মাঝে মধ্যে ফোনে যোগাযোগ করে ভাল আছি কিনা জানতে চাইতেন। তিনি এখানে যাদের সঙ্গে থাকতেন, কিছুদিন আগে ওই পরিবারও বাড়িতে চলে গিয়েছিল। সকালে বাবার সাথে কাজ করা লোকেরা খবর দিলে আমি আসি। পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় গলায় ফাঁস দেওয়া এক শ্রমিককে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।