করোনার কারণে দেড় বছর ধরে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে সারা দেশে ঝরে পড়েছে বহু শিক্ষার্থী। এ সময় বহু মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিকগুলো বহুল আলোচিত। তারপরও বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির প্রধান কারণ অভিভাবকদের অসচেতনতা। বস্তুত আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে অনেক অল্পশিক্ষিত অভিভাবক বাল্যবিবাহের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে দারিদ্র্য যুক্ত হওয়ায় কিশোরীদের বিয়ের সংখ্যা আরও বেড়েছে। বর্তমানে এ সমস্যা তীব্র। ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৫০ শতাংশের অধিক বাংলাদেশি নারীর ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে হচ্ছে এর ১৮ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের নিচে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। কাজেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পিতা মাতা ও মসজিদের ইমামসহ সংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সুফল পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে কোনো অসাধু কর্মকর্তা যেন ভুয়া নাগরিকত্ব বা জন্মসনদ প্রদান না করেন সে বিষয়ে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতনতা একান্ত জরুরি।
কে.এম.ছালেহ আহমদ বিন জাহেরী
মৌকারা দারুচ্ছুন্নাত নেছারীয়া কামিল মাদ্রাসা।