বালি বোঝাই ট্রাকের চাপে বেহাল সড়ক

ফেনুয়া বিল-টেকবাড়িয়া

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি | বুধবার , ৩ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

খানাখন্দে ভরা রাস্তা। তার উপর হালকা বৃষ্টিতে অবস্থা আরও শোচনীয়। কারণ গর্তের গভীরতা বোঝার উপায় থাকে না। এলাকার মানুষের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে খাল থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে বালি নিয়ে বড় বড় ট্রাক চলায় রাস্তার এমন শোচনীয় দশা। গত সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার কর্ণফুলী চা বাগানের পশ্চিম পাশে লেলাং থেকে কাঞ্চননগর যাওয়ার রাস্তা ফেনুয়া বিল টু টেকবাড়িয়া ব্রিক সলিন সডকের এ করুণ দশা দেখা যায়।

রাস্তার পাশে ফেনুয়া বালি মহালের ইজারা রয়েছে। তবে ইজারার নিয়ম ভেঙে ড্রেজার মেশিন দিয়ে তুলা হয় বালি। লেলাং খাল থেকে বালি তুলে সারি সারি বড় ট্রাক যাতায়াত করে গ্রামীণ এ রাস্তা দিয়ে। স্থানীয়দের ক্ষোভ, অতিরিক্ত বালি নিয়ে দিনরাত্রি গাড়ি যাচ্ছে। এত চাপ নেওয়ার ক্ষমতা এই রাস্তার নেই। তাই রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে রাস্তায় এখন বড় বড় গর্ত। তাতে এই সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমেছে। সেই সঙ্গে পানিকাদায় এখন পায়ে হেঁটেও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না।

হোসেন আলী নামে এক পথচারী বলেন, এ সড়ক দিয়ে সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ ছোট গাড়িগুলো চলাচল করে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে ফেনুয়া থেকে বড় বড় ট্রাক বালি নিয়ে যায়। সামান্য এ ইটের রাস্তায় এসব গাড়ি চললে রাস্তার সব ইট ভেঙে গর্ত হয়ে রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বালির গাড়িগুলোর জন্যেই এ রাস্তা এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, রাতে বড় ট্রাকগুলো বালি লোড করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। আমাদের প্রধান যাতায়াত ব্যবস্থা এ ফেনুয়া সড়কটি শুধু নষ্ট হচ্ছে এসব ট্রাকের কারণে। আমরা কিছু বলার সাহস পাচ্ছি না। তারা উল্টো ধমক দেয়সরকারি ইজারা দিয়ে বালি তুলছে, কে কি বলবে?

মোটরসাইকেল চালক সোহেল আলম বলেন, কাঞ্চন নগর থেকে লেলাং যাওয়ার সহজ রাস্তা এবং উপজেলায় যাওয়ার বিকল্প রাস্তা হচ্ছে ফেনুয়া টু টেকবাড়িয়া সড়ক। নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। ফেনুয়া বিলের সামনে এবং রাস্তার অনেক অংশ এখন গাড়ি চালানোর অনুপযোগী। মোটরসাইকেল নিয়ে অনেক সময় অনেকে পড়ে আহত হন। একজন লোক আসলে গাড়ি থামিয়ে সাইড দিতে হয় কারণ রাস্তার উভয়পাশে বড় বড় গর্ত, বৃষ্টি হলে এ সড়ক দিয়ে জীবন হাতে নিয়ে চলতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকারি ইজারা থাকলেও বালি মহালে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি তুলার নিয়ম নেই। সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিষয়টি জানা ছিল না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রস্তাব সংশোধনের আশ্বাস সিডিএর
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে বিপন্ন প্রজাতির ভালুকের দুটি শাবক উদ্ধার