আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে শিপিং এজেন্ট কর্তৃক বার্থ অপারেটরদের যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য হারে দরবৃদ্ধির বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি এলাকায় কন্টেনার জাহাজে অন বোর্ড কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজের বিপরীতে শিপিং এজেন্ট কর্তৃক প্রতি বঙ কন্টেনার হিসেবে অন বোর্ড হ্যান্ডলিং বিল সংশ্লিষ্ট বার্থ অপারেটরকে (কন্টেনার) পরিশোধ করে থাকে। ২০০৭ সাল হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর বার্থ অপারেটরদের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মজুরি বৃদ্ধিসহ কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজে নিয়োজিত সকল ধরনের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মজুরি বৃদ্ধি করা হলেও বার্থ অপারেটরগণকে অনবোর্ড হ্যান্ডলিংয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন কর্তৃক দরবৃদ্ধি করা হয়নি। এ বিষয়ে বার্থ অপারেটরস্ এসোসিয়েশন হতে একাধিকবার শিপিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের অনুকূলে পত্র যোগাযোগ এবং ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি মর্মে বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশন হতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর বার্থ অপারেটরস এসোসিয়েশনের সাথে বন্দর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বার্থ অপারেটরগণের পক্ষ থেকে বিষয়টি উত্থাপন ও আলোচনা করা হয়। বিষয়টি যদিও দুটি ব্যবসায়িক সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয় তারপরেও চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনার স্বার্থে সদস্য (হারবার ও মেরিন), চবক এর সভাপতিত্বে সকল পক্ষকে নিয়ে সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে নিয়েও পৃথকভাবে বেশ কয়েক দফা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন কর্তৃক বার্থ অপারেটরগণকে অনবোর্ড বিলের জন্য গ্রহণযোগ্য কোনো দর প্রদান না করে প্রকারান্তরে অসহযোগিতা, অযাচিত কালক্ষেপন এবং বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা না করার কারণে অদ্যাবধি কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবিতে সমপ্রতি বার্থ নেয়া ৩/৪ টি জাহাজের কার্যক্রমে ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়; যা চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমকে আংশিক বাধাগ্রস্থ করছে। এতে বাজারে পণ্যের সরবরাহ সংকট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং রপ্তানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনা, বাজারে পণ্যের সরবরাহ অবিঘ্নিত রাখা এবং আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে শিপিং এজেন্ট কর্তৃক বার্থ অপারেটরগণকে প্রদত্ত রেইট যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য হারে বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ জরুরি মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।