উদ্বোধনের পর ২ বছর পার না হতেই বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙে দ্বি–খণ্ডিত হয়ে গেলো কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে অবস্থিত নৌ–বাহিনীর জেটিটি। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জেটিতে বেঁধে রাখা একটি বার্জের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ জেটি ভেঙে যাওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও অনিশ্চিত হয়ে গেল। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে।
তবে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বুধবার বিকাল থেকে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগর উপকূল কিছুটা উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট উঁচু ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে কক্সবাজার উপকূলে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সাগরে পূর্ণ জোয়ার চলাকালে জেটিতে বেঁধে রাখা একটি বার্জের ধাক্কায় এ জেটিটি ভেঙে দ্বি–খণ্ডিত হয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, জেটিটি ভেঙে পড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঢেউয়ের তোড়ে বার্জের সাথে ধাক্কা খাচ্ছিল। ধাক্কা খাওয়ার সেই গর্জন অনেক দূর থেকেও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু ওই সময় জেটিতে কিংবা বার্জে কেউ ছিল না। এমনকি জেটি ভেঙে যাওয়ার পর সকাল ১০ টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের কাউকেই ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক শাখার একজন কর্মী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে বেঁধে রাখা হয়। তবে কেন, কী কারণে সেগুলো বেঁধে রাখা হয়েছে তা তারা জানেন না। এদিকে এ জেটি ভেঙে যাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও অনিশ্চিত হয়ে গেল। এ জেটি দিয়ে গত বছর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছিল। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এ জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে জাহাজ চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল জাহাজ কোম্পানিগুলো।