বারে বারে আসি

শাহনাজ সিঁথি | শনিবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

লক্ষনিযুত পথ পাড়ি দিয় এসেছি তোমাদের সময়; কতশত নারীপুরুষের সান্নিধ্য, হাসিকান্না আমার পথ বেঁধে দিয়ছে তোমাদের পথে!

একবার এক বোষ্টমী হয়তো ক্লান্ত পথের মায়ায় কোনও এক রাখালের উদাস বাঁশিতে মন হারিয়ে ছিলো অযথাই;

কৃষাণী কোনও ছটফটে কৈশোরের পাঠ চুকানোর আগেই বধূ বেশে কোনও এক কৃষাণের মাটির প্রলেপ মাখা ছনের ছাউনিতে! কিংবা রাজকন্যার প্রণয়ের ফসল ছিলাম কোনও এক কোটাল পূত্রের ঘরে;

বর্গা চাষীর মেয়ের প্রেম পূজারী হয় কোনও এক ডাকসাইটে জমিদার পুত্র! অসম সময় ধারা বয়!

তিতাসের কোল ঘেঁষে কিংবা গোমতীর পার ধরে এপার ওপার বাংলার আল ধরে; এবং তারও হাজার বছরের ইতিহাসের পথ পেরিয় পূর্ব, পশ্চিম, অথবা মধ্য মানচিত্রের কোথাও কোনও এক স্বপ্নাতুর যুবকযুবতীর চোখের তারায় জন্ম হয়ছিলো আমার! তারপর কেবলই নদীর গতিপথ পাল্টে চলেকখনও ইলিশ, কখনও স্যামনের মতো কখনও নদী আবার কখনও সমুদ্র ছুঁয়ে ছুঁয়ে জীবন আমার কেবল ছুটছে অবিরত!

পাহাড়ের পরে পাহাড়ের ভাজযেন তুলির ছোঁয়া;

কোনও এক সূর্য ডোবার বেলায় পরনে লালনীল থামি, খোলা চুলে বুনো ফুল আর অবাধ্য পাহাড়ী হাওয়ার মাতামাতি;

মুগ্ধ চোখে আমারই সজাতি!

মেঘের বাড়ি, আমার বাড়িখুবই কাছাকাছি!

বৃষ্টি হয় তাই তো ঝরি কোনও এক সমতলের পর্যটকের হৃদয় জুড়ে। বাঁধনের গল্প, কবিতা, আর উপন্যাসের উপাখ্যান হই আমি ও সে!

পুরোনো রাজবাড়ির উঠোন জুড়ে,

পুরোনো দালানের গন্ধ মেখে

ছুটে চলেছি কতকত সময়র কল্পকাহিনি জন্ম দিই।

আমাকেই দেখেছো বারেবারে তোমাদের হৃদকুঠুরিতে;

খুঁজেছো আমায়, ভালোবেসেছো জানাঅজানার এক অমোঘ

মায়ায়! আবার এসেছি তোমাদের মাঝে, তোমাদের সাথে নতুন করে গাঁথবো বলে স্বপ্নলোকের গল্পগাথা আর মায়াবী কাব্যকথায়!

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালোবাসতে শিখুন
পরবর্তী নিবন্ধএকটি সুবর্ণ কার্ড ও প্রতিবন্ধীদের বিড়ম্বনা