চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস–চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং চিকিৎসাবিদ্যা ও প্রকৌশলের মাঝে একটি সেতুর ন্যায় কাজ করে। এখানে চিকিৎসাবিদ্যা ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যা প্রকৌশল বিদ্যা প্রয়োগ করে সমাধান করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রকৌশলের প্রয়োগ ঘটিয়ে স্বাস্থ্যসেবা, রোগ নির্ণয় পদ্ধতি ও মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। রোগ নিয়ে গবেষণা, মেডিকেল ইকুয়েপমেন্টের উন্নয়ন, রোগ নির্ণয়ের নতুন ও কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কার, আর্টিফিশিয়াল প্রস্থেটিকস ডিজাইনিং এবং চিকিৎসাক্ষেত্রের সামগ্রিক মান উন্নয়ন করার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হয় বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে সুসংগঠিত করতে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিভাগের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। চুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আগামী দিনে শিক্ষা–গবেষণায় আরো অনেক অবদান রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগ আয়োজিত বিএমই বিটস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মানজারে খোরশেদ আলম, এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এসএম লোকমান কবির। সভাপতিত্ব করেন বিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ। বক্তব্য রাখেন চবি ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী তানভীর আহমেদ ও বিএমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম খন্দকার। বিদায়ী ব্যাচের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন হাফসা খান ত্রিনা, আরিফা তানজিম ও জোবায়ের বিল্লাহ অর্নব। এতে সঞ্চালনা করেন বিএমই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুসারাত হাবিব।