চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মো. হারুনুর রশিদকে (৫৩) রাউজান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণের মূল হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে অপহরণের ঘটনায় ব্যবহৃত জিপ গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম। অপহৃত মো. হারুন রশিদ হলেন চট্টগ্রামের ভূজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন–আল ফয়জুল আলম প্র. রবিউল (৩৫), মো. সোহানুর রহমান (২৮), মো. সাদেকুল আলম (২৯), মো. লোকমান শরীফ (৩৫), মো. শফিকুল ইসলাম বাপ্পী (৩০) এবং মো. আরমান প্র. মানিক (৪৪)। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী হারুন রশিদ গত ২৬ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে বায়েজিদ থানাধীন মাইজপাড়া আনোয়ারুল আজিম পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তার পূর্ব–পরিচিত মতিউর রহমান লিয়াকত ও খুরশিদ আলমের সাথে কথা বলছিলেন। এসময় হাটহাজারী থেকে অঙিজেনগামী একটি রূপালী রঙের প্রাইভেট কার তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে ৩ জন এবং আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আরো ৮–৯ জন ব্যক্তি হঠাৎ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে মো. হারুন রশিদকে ওই প্রাইভেটকারে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা হারুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহরণের খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশের দল ভিকটিমের স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হাটহাজারী এবং রাউজান থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে গত ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হাটহাজারী বাস টার্মিনালসংলগ্ন দরবার হোটেলের সামনে থেকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা ৬ জনকে আটক করে। এসময় একটি হ্যাংক মোটর সাইকেল ও একটি জিপগাড়ি জব্দ করা হয়। তবে অজ্ঞাতনামা আসামিরা ভিকটিমের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায় ভিকটিমকে অপহরণের পর রাউজানের সুলতানপুর সিটিয়াপাড়ায় হারুন চেয়ারম্যানের বাড়ির নাছির উদ্দিনের ঘরে নিয়ে মঞ্জুর আলমকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
একই দিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাউজানের হলুদিয়া ইউনিয়নের রহমানিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে ভিকটিম মো. হারুন রশিদকে উদ্ধার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ ।
এ প্রসঙ্গে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীকে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ভিকটিমকে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
        











