বায়েজিদে পিকআপের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু : পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চালকের

| শনিবার , ২ মার্চ, ২০২৪ at ৭:২৮ অপরাহ্ণ

ভিকটিম ৬০ বছর বয়সী লাকি বেগম। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার বাসা থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে তার মেয়ের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

উক্ত সিএনজি অটোরিক্সাটি বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আরেফিন নগর লিংক রোডস্থ সাজিনাস হসপিটালের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা নাম্বারের মিনি ট্রাক পিছন দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ভিকটিমকে বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

অজ্ঞাতনামা মিনি ট্রাকের ধাক্কায় ভিকটিমের বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সাটি উল্টে যায়। এতে ভিকটিম লাকি বেগমের ডান চোখের ভ্রুর উপরে, মুখের দুইপাশে, দুইকানে, বাম ও ডান কাঁধেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের পররিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষাণা করেন।

পরে বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮, ১০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়।

মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রাজীব পাল মামলার ঘটনাস্থলসহ আশপাশের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেন। সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় জড়িত সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান পিকআপ (মিনি ট্রাক) ঢাকা মেট্রো-ঠ- ১১- ৮৮০৬ গাড়ীটি সনাক্ত করা হয়।

রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের সূত্র ধরে গাড়িটির বর্তমান হেফাজতকারী মোঃ সোহাগের অবস্থান চিহ্নিত করে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন টেক্সটাইল মোড় এলাকা থেকে বর্ণিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে সোহাগের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অত্র থানাধীন ছিন্নমূল আবাসিক এলাকা থেকে গাড়ির চালক অভিযুক্ত মোহাম্মদ আল আমিনকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়।

মোহাম্মদ আল আমিন সীতাকুণ্ড জঙ্গল ছলিমপুর ১নং সমাজের নুরুনবী শাহ মাজারের পাশের বেলালের বাড়ির মোঃ বেলালের ছেলে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পারি, অভিযুক্ত মোহাম্মদ আল আমিন অত্র থানাধীন শেরশাহ মোড় মুসা ট্রান্সপোর্টস্থ সোহাগের গ্যারেজের কর্মচারী। ঘটনার তারিখে গ্যারেজের অন্য একজন কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম সোহেলকে (১৩) সাথে নিয়ে অভিযুক্ত মোঃ আল আমিন জব্দকৃত মিনি ট্রাকটি সকাল ৭টার সময় গ্যারেজ থেকে বের করে সেটি দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে এজাহার বর্ণিত সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত করে।

অভিযুক্ত আল আমিনের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তিনি বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে জব্দকৃত পিকআপটি চালিয়ে ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনা ঘটায়। ফলশ্রুতিতে ভিকটিম লাকি বেগমের মৃত্যু ঘটে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় জেলা পরিষদ সদস্যের বাড়িতে চুরি
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আরোহীর মৃ ত্যু