জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারী হেফাজতে ইসলামের নেতাদের হুঁশিয়ার করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, এই সমস্ত অর্বাচীন কথা, এই সমস্ত আস্ফালন বন্ধ করে দিন। না হয় বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষ রাজপথেই এর জবাব দেবে। তার পরিণাম ভালো হবে না।
বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান অবমাননার অভিযোগে হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী এবং যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের গ্রেপ্তার দাবিতে মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবীদের ৬০টি সংগঠন অংশ নেয়। এর বাইরেও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সংহতি জানান। খবর বিডিনিউজের।
মুজিববর্ষে ঢাকার ধোলাইড়পাড়ে বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্য সরকার স্থাপন করছে, তার বিরোধিতায় নেমেছে হেফাজতসহ ইসলামী কয়েকটি দল। এদের মধ্যে হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম বেশ সরব। তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত দীর্ঘ মানববন্ধনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে সংহতি জানাতে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, ইসলামকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল, আমি জানি না, তাদের প্রেতাত্মারাই আবার এই ধরনের আস্ফালন করছে কি না? সরকারের উচিৎ অবিলম্বে তাদের কার্যক্রম এবং এই যে সংবিধানবিরোধী বক্তব্য সেগুলো খতিয়ে দেখে আইনের শাসন কায়েমের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটা কি ব্যক্তিগত খামখেয়ালিপূর্ণ উক্তি, নাকি সুপরিকল্পিত উক্তি, ভালোভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। হেফাজত নেতাদের বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান মোজোম্মেল হক।