ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাবা–মাকে হত্যা করে বসতঘরে লাশ পুঁতে রাখার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ত্রিশাল উপজেলার বাঁশতলী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার ওসি মুনসুর আহাম্মদ। আটক রাজু মিয়া (২৬) ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী এবং রানোয়ারা বেগমের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি মুনসুর বলেন, বাবা–মায়ের সঙ্গে রাজু তার স্ত্রী ও ১১ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। বিয়ের পর রাজু বেকার হয়ে পড়ায় সংসারে অশান্তি চলছিল। টাকা–পয়সা নিয়ে প্রায় সময় বাবা–মায়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। স্ত্রী–মেয়ে বেড়াতে যাওয়ায় বুধবার–বৃহস্পতিবার রাজু ও তার বাবা–মা বাড়িতে ছিলেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে রাজুর কর্মকাণ্ড দেখে ও তার বাবা–মায়ের খোঁজ না পেয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের ভেতরে মাটিচাপা দেওয়া দুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও রাজুকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজুর দেওয়া বর্ণনার বরাতে ওসি বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে মা রানুয়ারা বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বসতঘরের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখে সে। পরে পাশের বাড়ি থেকে আনা কুড়াল দিয়ে রাত ২টার দিকে বাবা মোহাম্মদ আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার সকালে বাসার ভেতরের একটি রুমের মাটি খুঁড়ে বাবা–মায়ের লাশ চাপা দেয় রাজু। খবর বিডিনিউজের।
রাজুর বোন জরিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, জুয়া খেলে তার ভাইয়ের প্রচুর ঋণ হয়েছিল। কিন্তু বাবা জমি বিক্রি করে টাকা না দেওয়ায় তার ভাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় আরও স্থানীয় কেউ জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি মুনসুর আহাম্মদ।