মোটরসাইকেল নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে আর কে নয়ন (২৪) নামে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি সড়কের মুহুরীহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নয়ন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী রহমত আলী সারাং বাড়ি প্রকাশ মওলার বাড়ির মরহুম ফজলুল কবিরের ছেলে। গত ৩০ জানুয়ারি নয়নের বাবা প্রবাসী মোহাম্মদ ফজলুল কবির সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রায় পাঁচ মাসের ব্যবধানে বাবার পর ছেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে ফটিকছড়িতে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাবার গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোহাম্মদ রিয়াদ (২০) নামে আরেক যুবক নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের সেলফি রোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ দাঁতমারা বালুটিলার মোহাম্মদপুর গ্রামের নুরুল হুদার পুত্র। এ ঘটনায় আহত হয় আরও একজন।
জানা যায়, নয়ন মোটরসাইকেল যোগে এলাকার আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যায়। বিয়ে থেকে তারা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুহুরীহাট এলাকায় পার্কিং করা একটি ট্রাকের পেছনে মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটর সাইকেলে থাকা দুই আরোহী নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে নয়নের মৃত্যু হয়। নয়নের সঙ্গে থাকা সাহেদ চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ মফিজুর জানান, সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দাঁতমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজের হোসেন বলেন, রিয়াদ মোটরসাইকেল যোগে সেলফি রোডে ঘুরতে যায়। দ্রুতগতির মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাবার গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।