বাবার মৃত্যুর দেড় মাস পর চলে গেলেন ছেলেও

কর্ণফুলী প্রতিনিধি | রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১২:৫০ অপরাহ্ণ

দেড় মাস আগেই এই বাড়িতে নেমেছিল শোক। ইউসুফ সওদাগর বার্ধক্যজনিত রোগে না ফেরার দেশে চলে গেলে স্বজনরা ভেবেছিলেন, সময় হয়তো ধীরে ধীরে ক্ষত মুছে দেবে। কিন্তু পরিবারটি যে আরেকটা নির্মম আঘাতের অপেক্ষায় ছিল তা কে জানত। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় আবার কেঁদে উঠল একই ঘর। হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইউসুফ সওদাগরের ছোট ছেলে, মাত্র ২৬ বছরের মাদ্রাসাশিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন বাবুও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ঘটনাটি কর্ণফুলীর বড়উঠান গ্রামের।

বৃহস্পতিবার সকালে যথারীতি মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন মেজবাহ। দুপুরে বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই দিন লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে হার মানলেন।

মাত্র আট মাস হলো মেজবাহর বিয়ে। সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নাসরিন সুলতানা স্বামীর নিথর দেহের পাশে দাঁড়িয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কান্নার ফাঁকে শুধু বলছিলেন, শ্বশুরের পর স্বামীকেও হারালাম। আমি এখন কার জন্য বাঁচব?

তিন ভাই চার বোনের পরিবারে মেজবাহ ছিলেন সবার ছোট। বড় দুই ভাই আছেন প্রবাসে। পরিবারের সবার আদরের এই ছেলেটিকে হারিয়ে বুক ফাটা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছানোয়ারা বেগম চোখ মুছতে মুছতে বললেন, এমন নম্রভদ্র ছেলেটি। বাবার মৃত্যুর দেড় মাস পর সেও চলে গেল। পরিবারটি এখন অসহায় শোকে ভেঙে পড়েছে। শোকের মেঘে ঢাকা পড়েছে কর্ণফুলীর বড়উঠান গ্রাম যেখানে এখনও বাজছে করুণ রোদন, ভেসে আসছে নিথর হাহাকার। বড়উঠান ৪ নম্বর ওয়ার্ড কবির মাঝির বাড়ির মৃত ইউসুফ সওদাগরের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন বাবুর এমন মৃত্যুতে কাঁদছে তার মাদ্রাসার সহকর্মী শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরাও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাগ উপহার দিল এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের নতুন ডিসি আব্দুল আউয়াল, উপসচিব হলেন ফরিদা খানম