বাবর আলীর এবারের লক্ষ্য মাউন্ট এভারেস্ট ও মাউন্ট লোৎসে জয়

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩১ মার্চ, ২০২৪ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের তরুণ মো. বাবর আলী এবার যাচ্ছেন বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসে অভিযানে। দুবছর আগে তিনি হিমালয়ের ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন। বাবরের এই অভিযান শুরু হবে আগামীকাল সোমবার; আবহাওয়া ঠিক থাকলে অভিযান শেষ করতে মাস দুয়েক সময় লেগে যেতে পারে।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পবর্তারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযান সমন্বয়ক ফরহান জামান বলেন, নেপালতিব্বত সীমান্তে অবস্থিত ২৯ হাজার ২৮ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টে অভিযান নিঃসন্দেহে একটি দুরূহ কাজ। একই অভিযানে ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট উচ্চতার মাউন্ট লোৎসে আরোহণের প্রচেষ্টা এই অভিযানকে আরো চ্যালেঞ্জিং করেছে। বাংলাদেশ থেকে আগে এভারেস্ট আরোহন হলেও একই অভিযানে এভারেস্ট এবং লোৎসে আরোহনের চেষ্টা হয়নি আগে। সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছেন বাবর। সংবাদ সম্মেলনে পর্বতারোহী বাবর আলী বলেন, মাউন্টেনিয়ারিং একটি একক ও শ্রমসাধ্য কাজ। পৃথিবীর দুর্গমতম প্রান্তগুলোতে এটা করতে হয়। পর্বতারোহনের শুরু থেকেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় দাঁড়িয়ে বিশ্বকে দেখার স্বপ্ন আছে আমার। তিনি বলেন, আমি সবসময় চ্যালেঞ্জিং আর নতুন কিছু করতে পছন্দ করি বলেই একই অভিযানে এভারেস্টের সঙ্গে লোৎসে আরোহনের এই প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছি। বাবর আলী বলেন, সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের পাশাপাশি আমার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা। একসাথে দুটি শৃঙ্গ জয় ব্যতিক্রমী। সফল হলে প্রমাণ হবে, আমরাও পারি।

অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে বাবর আলী জানান, পর্বতারোহনের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। সেখান থেকে সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষে পৌঁছাবেন বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হবে সেখান থেকেই।

পুরো অভিযানে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে জানিয়ে অভিযান সমন্বয়ক ফরহান জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মে মাসের তৃতীয় অথবা শেষ সপ্তাহে চূড়ায় আরোহন সম্পন্ন হতে পারে।

চট্টগ্রামের তরুণ বাবর আলী পেশায় চিকিৎসক হলেও তার ধ্যানজ্ঞান পর্বতারোহন। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের একমাত্র পর্বতারোহন ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দীন এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল নিটওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ নূর ফয়সাল। এই অভিযানে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাবর আলী। সংবাদ সম্মেলন শেষে বাবর আলীর হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা।

বাবরের প্রথম হিমালয় যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ ক্লাব আয়োজিত ওই অভিযানে হিমালয়ের ৫ হাজার মিটার উচ্চতার এক পর্বতের চূড়ায় উঠেছিলেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাক্তাইসহ কয়েকটি খাল পুনরায় খনন হচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু