বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কৃষকের উদ্ধার করা ২টি স্থলমাইন ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল।
আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এসব মাইন ধ্বংস করা হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৫-৪৬নং সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি বাংলাদেশ অভ্যন্তরের জামছড়ি এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম গত ২৯ জুলাই ২টি স্থলমাইন (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) উদ্ধার করেছিলেন।
পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)কে খবর দেয়া হলে উদ্ধার হওয়া মাইন দু’টি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আজ সোমবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি’র সহায়তায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আশরাফ আলীসহ ৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল মাইনগুলোর তথ্য উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করে বিস্ফোরণ ঘটান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল শাহ আবদুল আজিজ আহমেদ।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে দোছড়ি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে বেআইনীভাবে মাইন পুঁতে মিয়ানমার বাহিনী।
এসব মাইন দ্বারা অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা নাগরিক হতাহত হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের বিদ্রোহী একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সীমান্তে মাইন স্থাপন করে আসছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।