বান্দরবানে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে। ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ রবিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বান্দরবান সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন না দিয়ে সম্মেলনে নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করায় বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুলের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিতে জড়ো হলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
এদিকে, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, “২০১৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কয়েক দফায় জেলা ছাত্রলীগের কাছে জমা দিলেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেননি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন না দিয়ে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ বা চিঠি ছাড়াই কমিটি বাতিল করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের সিনিয়র ক’জন নেতা অভিযোগ করে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি কীভাবে নির্বাচিত কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে? তাও কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়া। এতে ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে। ছাত্রলীগকে চাঙ্গা করতে সংগঠনে গতিশীলতা আনতে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলন দেয়ার দাবি ত্যাগী নেতাকর্মীদের।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল বলেন, “কলেজ ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড সন্তোষজনক না হওয়ায় পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক টিপু দাস এবং আরমানকে নিয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পুরনো কমিটি দু’বছরে একটা অনুষ্ঠান করতে পারেনি। তাই তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়নি। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ছাত্রলীগের সব কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই জেলা ছাত্রলীগেরও সম্মেলন দেয়া হবে।