বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠেছে। তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিয়ানমারের ১শ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। ঘুমধুম–তুমব্রু সীমান্ত শান্ত হয়ে এলেও আস্তে আস্তে অস্থিরতা যাচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া–টেকনাফ সীমান্তের দিকে। গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘুম ভাঙছে সেখানকার সীমান্তের মানুষের। গতকাল ভোর ৫ টার দিকে হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির বিকট শব্দ ভেসে আসে সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উখিয়ার থাইংখালীতে। সবার ভেঙে যায় ঘুম।
অপরদিকে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠায় উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ঘুমধুম–তুমব্রু, জলপাইতলী সীমান্তের ২৪৩ জন বাসিন্দার সকলে ঘরে ফিরে গেছে। গতকাল এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ঘুমধুম–তুমব্রু সীমান্তের ওপারে কোনো গোলাগুলি, মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বুধবার দুপুরের পর থেকে আজকে সকাল পর্যন্ত কোনো গুলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠায় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজন ঘরে ফিরে গেছে। এদিকে ভয়ে আতঙ্কে দূরদূরান্তে আত্মীয় স্বজনের বাসাবাড়িতে চলে যাওয়া লোকজনও ফিরতে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারে দোকানপাট খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। লোকজনের আনাগোনাও বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গতশনিবার থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলে আসছিল। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের ৩টি ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মী। সংঘাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৩৩০ জন সেনা–সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের সদস্য।