টিকা সংকটে বান্দরবানে করোনাভাইরাসের সুরক্ষার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ টিকা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পাহাড়ের টিকা নিতে আসা নারী-পুরুষেরা।
আজ সোমবার (২১ মার্চ) সাড়ে এগারোটায় সদর হাসপাতালে গিয়ে লোকজনদের টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
টিকা কার্ড নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে আসা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া বন্ধ থাকলে ঘোষণা দিয়ে আগে-ভাগেই জানিয়ে দেয়ার দরকার ছিল। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ অনেক টাকা খরচ করে ভাড়া দিয়ে টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এমন উদাসীন আচরণ খুবই দুঃখজনক।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জিয়াউল হায়দার জানান, টিকা দেওয়ার বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয় তত্ত্বাবধান করে, তারা এর দায়িত্বে নেই।
তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার মেয়াদ থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বেশি টিকাও এনে রাখা যাচ্ছে না, জনসংখ্যা কম থাকায় একসাথে বেশি করে টিকা আনা সম্ভব নয়।
এদিকে, সাময়িক কিছুটা টিকার সংকটের কথা স্বীকার করে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, তারা যত দ্রুত সম্ভব বুস্টার ডোজের টিকা বান্দরবানে এনে টিকা কার্যক্রম সচল রাখতে চেষ্টা করছেন। বুস্টার টিকা দেয়ার নির্ধারিত তারিখে টিকা দিতে এসে কেউ কেউ টিকা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে, টিকা আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বুস্টার ডোজ দিতে আসা লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, করোনার বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে। অনেকে টিকা নিতে এসে ‘বন্ধ’ জেনে ফিরে যাচ্ছে, আবার কেউ কেউ খোঁজ খবর নিচ্ছে কবে নাগাদ বুস্টার ডোজ নিতে পারবে। কেউ কেউ জানার চেষ্টা করে নির্ধারিত তারিখের পর বুস্টার দিতে না পারলে পরে টিকা দেয়া যাবে কি না, কোনো সমস্যা হবে কি না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া আপাতত (সাময়িক) বন্ধ রয়েছে। তবে বুস্টার ডোজ টিকার মেয়াদ এক মাস। তাই ঝুঁকি এড়াতে বেশি টিকা আনা যাচ্ছে না। বান্দরবানে জনসংখ্যা কম হওয়ায় একসাথে বেশি টিকা আনলে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেগুলো আর প্রয়োগ করা যায় না। তাই বান্দরবানে অল্প অল্প টিকা আনতে হয়। আপাতত বান্দরবানে বুস্টার ডোজের টিকা স্টকে নেই। তাই সাময়িকভাবে টিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে। বুস্টার ডোজ হিসেবে বান্দরবানে মডার্না দেয়া হচ্ছে, এটি সর্বোচ্চ এক মাস রাখা যায়। মেয়াদোত্তীর্ণের শঙ্কা থাকায় বেশি টিকা আনা যাচ্ছে না।
এর আগে বুস্টার ডোজের জন্য আনা মডার্নার প্রায় ২৩ হাজার ডোজ টিকা নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে হয়েছে।












