বান্দরবানের সূয়ালক ইউনিয়নের কদুখোলায় খালের পাড়ে মিললো নবজাতক একটি ছেলে শিশু।
খালে মাছ ধরতে গিয়ে কান্না শুনতে পেয়ে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে যান এক দম্পতি কিন্তু স্থানীয় পাড়াবাসী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেয়ায় শিশুটির ঠিকানা হলো বান্দরবান সদর হাসপাতাল।
গতকাল রবিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টায় পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করার পর এখন সদর হাসপাতালের বেবি কর্নারে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম ও হাসিনা বেগম দম্পতি জানান, সূয়ালক ইউনিয়নের কদুখোলা এলাকায় বাড়ির পাশের খালের পাড়ে মাছ ধরতে যান তারা। সকাল এগারোটার দিকে খালের পাড়ে শিশুর কান্না শুনতে পান। কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে বস্তা প্যাঁচানো অবস্থায় একটি ছেলে শিশুকে দেখতে পান। পরে তারা দু’জন শিশুটিকে বাসায় নিয়ে যান।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পাড়াবাসীরা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এদিকে, নবজাতক শিশুটি তীব্র শীতে খালি গায়ে পড়ে ছিল খালের পাড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে তার মা-বাবা ও স্বজনরা সামাজিকভাবে পরিচয় গোপন রাখতে নবজাতক শিশুটিকে বস্তায় করে খালের পাড়ে ফেলে রেখে এসেছিল।
কদুখোলার স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো. রফিকুল আলম বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল করিম ও হাসিনা বেগম দম্পতি খালের পাড়ে ফেলে রাখা শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। পুলিশের জুরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করা হলে সদর থানা পুলিশ রাত ৯টার দিকে বাচ্চাটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। পরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য বাচ্চটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার মনজুরুল আলম বলেন, “সদর হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খালের পাড় থেকে নবজাতক ছেলে শিশুটিকে উদ্ধার করেছিল স্থানীয় এক দম্পতি। খবর পেয়ে তাদের কাছ থেকে শিশুটিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালের বেবি কেয়ারে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।