পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি খুবই সুন্দর তিনটি জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। উন্নয়নের সাথে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। পাহাড়ের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে। সীমান্ত সড়ক বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলে ডেভেলপমেন্ট এবং বিনিয়োগ আরও বেড়ে যাবে। পাহাড়ের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তায় করণীয় সব ব্যবস্থায় গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলায় সবনির্মিত মডেল থানা ভবনের উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার সহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, পুলিশ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় ৯ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত থানচি উপজেলা চারতলা বিশিষ্ট মডেল থানা ভবনটি উদ্বোধন করেন।
তার আগে মন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে বান্দরবানের থানচি এসে পৌঁছান সকালে। পরে মন্ত্রীসহ অতিথিরা থানা ভবনের সামনে বৃক্ষরোপণ করেন। এছাড়াও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী।
বিকালে নির্মাণাধীণ সীমান্ত সড়কের বাগলাই নামক ৪ কিলোমিটার স্থানটি পরিদর্শন করবেন। রাতে বেসরকারি রিসোর্টে রাত্রী যাপন করবেন। অপরদিকে আগামীকাল শুক্রবার থানচির দুর্গম রেমাক্রী এলাকা পরিদর্শন করে বান্দরবান ত্যাগ করবেন মন্ত্রী।