গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বান্দরবানে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাসে আলীকদমে সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ। টানা বৃষ্টিতে সড়কে পাহাড়ের মাটি নেমে এসে পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় রুমা, থানচি, বান্দরবান–লামা–সূয়ালক, রোয়াংছড়ি–রুমা, থানচি–আলীকদম এবং পৌর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে পাহাড়ের মাটি সড়কে নেমে এসে সড়কগুলো পিচ্ছিল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
বনরুপা এলাকার বাসিন্দার সাজ্জাদ শাহীন ও জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই পাহাড় কাটা মাটি ভেঙে ধুয়ে সড়কে নেমে আসায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বনরুপায় পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে বৃষ্টিতে ভূমিধস দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
আলীকদমের বাসিন্দার মঞ্জুর আলম বলেন, সন্ধ্যা থেকে আলীকদমে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস বইছে। বাতাসে গাছ ভেঙে পড়েছে সড়কে। সাময়িক বন্ধ থাকার পর সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে নেবার পর পুনরায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। স্থানীয়দের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি।