বাজেট নিয়ে বিজিএমইএর প্রথমসহসভাপতির একগুচ্ছ প্রস্তাবনা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ মে, ২০২৩ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন ২০২৩২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বাজেট প্রস্তাবনায় তিনি উল্লেখ করেন, রপ্তানি বাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে সরকার কর্তৃক নীতিগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ‘কস্ট অব ডুইং বিজনেস’ কমানোর লক্ষ্যে বাজেটে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহসহ মূল্য হ্রাসের ব্যবস্থা করতে হবে, ভ্যাটট্যাক্স কমাতে হবে। ব্যাংক ইন্টারেস্ট সিঙ্গেল ডিজিটের মধ্যে রাখতে হবে। রপ্তানি আয়ে ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখতে হবে। বাজেটে ‘ইজি অব ডুইং বিজনেস’।

এছাড়া সরকারের কাছ থেকে যে নীতি সহায়তাগুলো আমরা আশা করছি, সেগুলোর উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে পূর্বের ন্যায় শূন্য দশমিক ৫০ করা এবং আগামী ৫ বছর পর্যন্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের অ্যাসেসমেন্টের সময় কর আরোপকালে অন্যান্য আয়, যেমন গেইন অন অ্যাসেট ডিসপোজাল, সাব কন্ট্রাক্ট ইনকাম এবং বিবিধ খরচকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে ৩০ শতাংশ কর আরোপ না করে কর্পোরেট কর হার ১২ শতাংশ হারে আরোপ করা এবং আগামী ৫ বছর পর্যন্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের সাবকন্ট্রাক্টের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের রুল ১৬ এর টেবিল১ এর আওতায় সাবকন্ট্রাক্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চুক্তির মূল্য পরিশোধের সময় প্রস্তাবিত ধাপ অনুযায়ী উৎসে কর ধার্য করা, উক্ত করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করা। অন্যথায় অ্যাসেসমেন্টের সময় কর আরোপকালে কর্পোরেট ট্যাঙ হার ১২ শতাংশ হারে কর ধার্য করতে হবে।

রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকদের এঙপোর্টার রিটেনশন কোটা ফান্ড থেকে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১০ শতাংশ করতে হবে। একইভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার চান তিনি। যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয় তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসঙ্গত।

বর্তমানে বিশ্বে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানি সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দেশে শিল্পের প্রসার এবং নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য সোলার পিভি সিস্টেম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জ্বালানি সংকট নিরসন, উৎপাদন ব্যয় কমানো এবং রপ্তানির ধারা চলমান রাখার জন্য সোলার পিভি সিস্টেমের সরঞ্জাম শুল্ক রেয়াতি হারে আমদানির সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতিটি মহল্লায় স্কোয়াড গড়ে তুলুন
পরবর্তী নিবন্ধকথায় কথায় মাথা গরম নয়