নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল নগর ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বড়পোলস্থ জাতির জনকের ম্যুরালে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর পুষ্পমাল্য অর্পণ, কালো ব্যাচ ধারণ, চসিক সম্মেলন কক্ষে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত, টাইগারপাসস্থ বিন্নাঘাস প্রকল্প এলাকায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূিচ এবং জেনারেল হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। এছাড়া সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম।
আলোচনা সভায় রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত তখনই স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে তারা বাঙলির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে ফেলাই ছিল তাদের মূল লক্ষ।
তিনি বলেন, ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল তার স্বপ্ন।
মেয়র বলেন, বাঙালির জাতীয় জীবনে আগস্টের ভয়াবহতা, নৃশংসতা ও শোকের কোন শব্দ ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। এই দিনে ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা হারিয়েছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান শুধু অবিসংবাদিত নেতাই ছিলেন না, ছিলেন বীরত্ব, ত্যাগ, দৃঢ়প্রত্যয়, নেতৃত্বগুণের একজন রাজনৈতিক। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জীবনে এসেছিলেন আলোকবর্তিকা হয়ে। জাতির পিতার জীবন দর্শন, সততা ও বিচক্ষণতা অনুসরণ করেই তার আদর্শের ধারক ও বাহক হতে পারলেই এগিয়ে যাবে দেশ, সমৃদ্ধ হবে জাতি।
জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হলেও এ হত্যার কুশীলবদের আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবি উল্লেখ করে মেয়র ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্লের সোনার বাংলা আধুনিক জ্ঞানভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মোহাম্মদ জাবেদ, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, গাজী মো. শফিউল আজম, মো. সাহেদ ইকবাল বাবু, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, মোহাম্মদ ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ, মো. নুরুল আমিন, পুলক খাস্তগীর, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জোবাইলা নার্গিস খান, জেসমিন পারভীন জেসি, আঞ্জুমান আরা, শাহীন আকতার রোজী, হুরে আরা বেগম, তসলিমা বেগম (নুরজাহান), জাহেদা বেগম, রুমকী সেনগুপ্ত সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ফরিদ আহমদ ও মো. মুজিবুর রহমান।
