বাকলিয়ায় বর্জ্য শোধানাগার নির্মাণ চান না পরিবেশবিদরা

পরিকল্পনা বাতিল না হলে চসিক ঘেরাও

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ মার্চ, ২০২৪ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর চর বাকলিয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) বর্র্জ্য শোধানাগার নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা না এলে নগর ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন তারা। গতকাল কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান মঞ্চে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে ৬ দফা দাবিও ঘোষণা করা হয়।

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র, আরএসকে ফাউন্ডেশন ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার উজানে কর্ণফুলী নদীর মাঝখানের একটি চর। ১৯৩০ সালে তৎকালীন বৃটিশ আমলে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের কারণে ধীরে ধীরে নদীর মাঝখানে এই দ্বীপ জেগে উঠে। সমপ্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চরটির পশ্চিম দক্ষিণ পাশে কিছুটা খনন করেছে। চরটির মোট আয়তন প্রায় ১০৫ একর বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে বর্তমানে চরটি সরকারি এক নম্বর খাস খতিয়ানে নদী শ্রেণীর জমি হিসাবে চিহ্নিত। এই চরটিতে বর্জ্য শোধনাগার করার জন্য ২০২৩ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত প্রদানের একটি আবেদন ভূমি মন্ত্রণালয়ে করা হয়। বর্তমানে চরটিতে বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প স্থাপনের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ চলমান।

এতে বক্তব্য রাখেন, প্রতিবাদ মঞ্চের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান, কর্ণফুলী নদী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চরটিকে ইকো ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প বাকলিয়া চরে হবে না মর্মে ঘোষণা দিতে হবে। অন্যথায় সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও সহ মামলা দায়ের করা হবে।

সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ সংগঠক মিটুল দাশগুপ্ত, হেলাল চৌধুরী, পরিবেশ সংগঠক শারুদ নিজাম, নারী নেত্রী হাসিনা আক্তার টুলু, ক্যাব চট্টগ্রামের সহ সভাপতি জানে আলম, তারেকশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক, আরকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদুল করিম বাপ্পী, সাংবাদিক তুষার মুজিব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম বারের মত রিসাইক্লিং করা প্লাস্টিক বর্জ্য সরবরাহ দিল রাউজান পৌরসভা
পরবর্তী নিবন্ধআবাম ফাউন্ডেশনের ঈদবস্ত্র বিতরণ