বাইডেনের আশ্বাসের পরও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন

| বুধবার , ১৫ মার্চ, ২০২৩ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থা নিরাপদে আছে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের পতনের ধাক্কায় সোমবার বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন ঘটেছে। মূলধন সংকট ও আমানত ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার কারণে গত শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)। তিন দিন না যেতেই রোববার নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল প্রটেকশন অ্যান্ড ইনোভেশন। খবর বিডিনিউজের।

এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের এমন আতঙ্ক দূর করতে সোমবার বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ব্যাংকে গচ্ছিত গ্রাহকদের অর্থ পুরোপুরি নিরাপদ এবং সেজন্য যা যা দরকার, সবই তার সরকার করবে। কিন্তু এই পতনের ধাক্কায় অন্য ব্যাংকও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। আর তাতেই বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারের ব্যাপক দরপতন হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সোমবার দিনের শুরুতে স্পেনের সানতানদার এবং জার্মানির কমার্জব্যাংকের শেয়ার একটা সময় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ইউরোপের ব্যাংকগুলোর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের তরফ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, এ ধাক্কা সামাল দেওয়ার মত যথেষ্ট তারল্য বাজারে আছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করতে পারে বলে একটি ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির ওই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আশ্বাস দিয়েছিলেন, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে যাদের আমানত রয়েছে, তারা সবাই সোমবার থেকে তাদের অর্থ তুলতে পারবেন। তাদের পুরো অর্থ যেন নিরাপদ থাকে, সরকার সেই ব্যবস্থা নিয়েছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বিশেষ করে প্রযুক্তিখাতের কোম্পানিগুলোকে ঋণ দিত। শুক্রবার ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহকের টাকা আটকে যায়। ফলে কর্মীদের বেতন আর ভেন্ডরদের পাওনা পরিশোধের পথ বন্ধ হয়ে যায় ওই ব্যাংকের গ্রাহক কোম্পানিগুলোর জন্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযেভাবে ডুবল আমেরিকার দুই ব্যাংক
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার আগ্রহে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার