যে শঙ্কার কারণে আয়ারল্যান্ড থেকে সিরিজটি সরিয়ে ইংল্যান্ডে আনা হয়েছিল সে শঙ্কা সত্যি হলো ইংল্যান্ডেও। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের এসেক্স কাউন্টি মাঠে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি প্রথম সেশন নির্বিঘ্নে হতে পারলেও দ্বিতীয় সেশনের মাত্র ১৬.৩ ওভার। বাকি সময়ের পুরোটা কেড়ে নেয় বৃষ্টি। ফলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচটি। এখন সিরিজটি দাঁড়াল দুই ম্যাচের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। লিট্টলের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরেন ওপেনার লিটন। সেটাও আবার গোল্ডেন ডাক মেরে। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিরেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। এডায়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন টাইগার অধিনায়ক ১৪ রান করে। ১৫ রানে নেই দুই ওপেনার। এরপর দুই বাঁহাতি সাকিব আল হাসান আর নাজমুল হোসেন শান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু জুটিটা বড় করতে পারেননি তারা। মাত্র ৩৭ রানে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ২১ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২০ রান করা সাকিব ফিরেন বোল্ড হয়ে। এরপর আইরিশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়েন শান্ত এবং তাওহিদ হৃদয়। ৬৩ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন দুজন। আর এজুটি ভাঙ্গে শান্তর আউটে। দলীয় ১০২ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা। চাপের মুখে ভালো খেলেও নিজের হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে পারলেন না শান্ত। ফিরলেন ৬৬ বলে ৪৪ রান করে। যেখানে ৭টি চার মেরেছেন তিনি। এরপর ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটার হৃদয়। তিনিও ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩১ বলে ২৭ রান আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে।
১২২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মুশফিক। আর তাকে সহযোগিতা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজন গড়েন ৬৬ বলে ৬৫ রানের জুটি। আর এজুটি ভাঙ্গে মিরাজের আউটে। ডকরেলকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ৩৪ বলে ৪ চারের সাহায্যে ২৭ রান করা মিরাজ। এরপর ধীরে এগুচ্ছিলেন মুশফিক। এরই মধ্যে তুলে নেন নিজের ৪৪ তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু বড় করতে পারলেন না নিজের ইনিংসটাকে। ফিরেছেন ৬১ রান করে। তার ৭০ বলের ইনিংসটিতে চার মেরেছেন ৬টি। দলের তখন ২২০। এরপর তাইজুল এবং শরীফুলের যথাক্রমে ১৪ এবং ১৬ রানের ইনিংস দুটির উপর ভর করে ২৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে জস লিট্টল ৩টি উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৬১ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ডকে চতুর্থ ওভারেই প্রথম ধাক্কাটা দেন শরীফুল। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। ১০ বলে ১৫ রান করা স্টার্লিং ফিরেন মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পরের ওভারে আঘাত হানেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। তার শিকার আইরিশ অধিনায়ক এন্ডি বালবির্নি। ৫ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেন আইরিশ দলপতি। তৃতীয় উইকেটে হ্যারি ট্যাক্টর এবং স্টিফেন ডুহিনি মিলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাদের থামান তাইজুল। তিনি ফেরান ডুহিনিকে।
অবশ্য নিজের আগের ওভারেই ফেরাতে পারতেন ট্যক্টরকে। কিন্তু সে সময় ক্যাচটি নিতে পারেননি তাইজুল। পরের ওভারে ফিরতি ক্যাচে বিদায় করেন ডুহিনিকে। ১৭ রান করে ফিরেন এই ওপেনার। স্বাগতিক দলের রান যখন ৩ উইকেটে ৬৫ তখন শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ম্যাচটি আর শুরু করা যায়নি। ফলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।