বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে ‘সাকার ফিশ’

| বৃহস্পতিবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

গত কিছুদিন ধরে খামারিদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিশ’ অবশেষে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
১৯৮৫ সালের ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস’ এর বিধি সংশোধন করে নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত করা হবে পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা এ মাছের নাম। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় জানতে চেয়েছে, সাকার ফিশ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হলে তাতে কারো আপত্তি আছে কিনা। আপত্তি থাকলে দুই মাসের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে। আপত্তি
নিষ্পত্তি সেরে নির্ধারিত সময়ের পর বিধি সংশোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবে মন্ত্রণালয়। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে যেখানে সাকার ফিশ পাওয়া যাবে, সেটা ধ্বংসের নির্দেশনা দেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে ২০০৮ সালে আফ্রিকার রাক্ষুসে মাস পিরানহা বাংলাদেশে চাষ করা, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারজাত করা এবং কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন ও বিপণনের ওপর। একই ধরনের কারণে এবার ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিশ’ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানালেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মৎস্যচাষ) ড. মো. খালেদ কনক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ গ্রুপের তিন থেকে চার ধরনের প্রজাতি দেখা যায়। এরা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আর সাকার ফিশ আমরা খাইও না। কোনো দেশেই খাওয়ার রেকর্ড নেই। অথচ দেশে জলাশয়গুলোতে এ মাছ ক্রমাগত বাড়ছে। যে কোনো পরিবেশে যে কোনো জায়গায় বেঁচে থাকা ও বংশবৃদ্ধি করার সক্ষমতা আছে এর। ভালো পানিতে বাড়ছে, দূষিত পানিতেও দ্রুত বংশবৃদ্ধি করছে। সাকার মাউথ ক্যাট ফিশকে দেশি প্রজাতির মাছের জন্য ‘হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করে খালেদ কনক বলেন, এরা দেশীয় প্রজাতির মাছের রেনু খেয়ে ফেলে এবং জীববৈত্র্যের জন্যও হুমকি। তাই আমরা সাকার মাছ নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছি।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোনো এক সময় হয়ত অ্যাকুরিয়ামে রাখার জন্যে এনেছিল। পরে ধীরে ধীরে মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে গেছে।
দেশের জলাশয়ে সাকার ফিশের দেখা মিলছে গত কয়েক বছর ধরে। শুরুতে পুকুর ও খালে এর দেখা মিললেও এখন বিভিন্ন নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে সাকার ফিশ। ঘেরে সাকার ফিশের উপস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক বলেন, সাকার মাছ নিষিদ্ধ হলে জেলা-উপজেলায় যেখানে এ মাছ পাওয়া যাবে, তা ধ্বংস করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। ২৯ নভেম্বরের পরে চূড়ান্ত হয়ে বিধিতে যুক্ত হবে। তখনই প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅক্টোবর মাসে শ্রেষ্ঠ থানা কোতোয়ালী
পরবর্তী নিবন্ধরিমান্ড শেষে জামিন মেলেনি বুশরার