পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না যা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার সোনালী অধ্যায়ে ফাটল ধরাতে পারে। সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এমন কোনো ঘটনাও দেখতে চায় না যা বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে কোনো ধরনের ফাটল ধরাতে পারে। তিনি বলেন, এটি একটি সৌজন্য বৈঠক ছিল। সংক্ষেপে তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত হত্যা ও পানি বন্টনসহ বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা আমাদের সীমান্তের অবাঞ্ছিত ঘটনা রোধে একটি ফর্মুলা দিয়েছে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে পরবর্তী যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্যও ঢাকা ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের চলমান সোনালী অধ্যায় কিভাবে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন। আমাদের এই সম্পর্কটি দৃঢ় করতে হবে। এটি উভয় দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য প্রয়োজন। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গতকাল মঙ্গলবার সকালে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী গত মার্চে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দেন এবং ভারতীয় রাষ্ট্রপতির আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ৫০তম বিজয় দিবসে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই সফরগুলো আমাদের সম্মানিত করেছে।