ম্যাচের আগের দিন থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত টানা সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে হয়েছে আফগান কোচ জোনাথন ট্রটকে। ম্যাচের চার দিন বলেন নিজ দলের পারফরম্যান্সে হতাশার কথা। তবে বিব্রতকর পরাজয়ের পর বাংলাদেশকে বেশি কৃতিত্ব দিলেন আফগানিস্তানের প্রধান কোচ। সব মিলিয়ে শুধু পুরো ম্যাচ থেকে হতাশাই পেয়েছে আফগানরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তা সোজাসুজিই বলেন ট্রট। পাশাপাশি প্রস্তুতির ঘাটতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘অবশ্যই অনেক হতাশাজনক। একদম শুরু থেকেই আমরা ভালো খেলতে পারিনি। প্রায় ২৭ মাস কোনো টেস্ট খেলিনি আমরা। ক্রিকেটাররা ৪ দিন আগে আসে এখানে। টেস্ট ম্যাচের জন্য যথার্থ প্রস্তুতি নিতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আরও ভালো কিছু করতে হতো। সব কিছু মিলিয়েই হতাশাজনক। হয়তো কিছু ভালো পারফরম্যান্স ছিল আমাদের। তবে তা যথেষ্ট ও ধারাবাহিক ছিল না।’
তবে নিজেরা প্রত্যাশামতো খেলতে না পারার পেছনে বাংলাদেশের দারুণ খেলার দিকটিই বড় করে দেখছেন ট্রট। ‘আমার মতে, এখানে বিষয়টি হলো প্রতিপক্ষ বেশি ভালো খেলেছে এবং নিজেদের কাজটি তারা ধারাবাহিকভাবে করে গেছে। লাইন–লেংথ ধরে রেখে টানা বোলিং করেছে। আমরাও সেই চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। তাদের ব্যাটসম্যানরা লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে… সবচেয়ে লম্বা ইনিংস ছিল সম্ভবত রহমত শাহর, ৭০ বলের (৭৩ বল)। এই ম্যাচে তাদের একজন ব্যাটসম্যান জোড়া সেঞ্চুরি করেছে। এটিও দেখিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে আসলে আদর্শ কী! আমার মতে, তাদের স্পিনাররাও ভালো করেছে। অন্য দিকে আমাদের স্পিনাররা নিখুঁত বোলিং করতে পারেনি।’ ট্রটের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তাসকিন–ইবাদতদের প্রশংসা। ‘আমার মতে, এটি (বাংলাদেশের পেস আক্রমণ) খুব ভালো। গতি আছে ভালো। এমন পেস আক্রমণ নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে। তাদের দারুণ স্পিনারও আছে, তারা জানে কীভাবে নিজেদের কন্ডিশন কাজে লাগাতে হয়। তো পুরো কৃতিত্ব তাদের।’












