বাঁশখালীতে ত্যাগী ও দীর্ঘদিন রাজপথে থাকা নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের নিয়ে উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কমিটি থেকে পদত্যাগ করা পাঁচ যুবলীগ নেতা। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমেদ মিলনায়তনে বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাতিলের দাবি জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগ করা সাবেক দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে জানান, বিতর্কিত ভুয়া জন্ম সনদ ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করা এমন ১৪ জনকে রেখে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেয় যায় না। এ সময় তিনি দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক এক নেতার মদদে ওই আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সব ধরনের কারসাজি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন। এছাড়াও আগামী তিন দিনের মধ্যে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত না আসলে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যুবলীগ নেতারা।
তিনি বলেন, কমিটির আহ্বায়ক হত্যা মামলার আসামি। একইভাবে কমিটিতে আছেন চাঁদাবাজি মামলার আসামি, ভূমি দখলবাজও। শুধু তাই নয়, অতীত রাজনীতির ভুয়া পদ ব্যবহার করে অনেকেই এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। হত্যা মামলার ১১ নম্বর চার্জশিটভুক্ত আসামিকে করা হয়েছে আহ্বায়ক। অন্যান্যরাও নানা সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন বলে ভুয়া রাজনৈতিক পরিচয় ও ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। সদস্য পদে থাকা কমপক্ষে ১৪ জন নেতা ভুয়া রাজনৈতিক পদবী ব্যবহার করে নেতা হয়েছেন। অন্যের বাড়ি দখল করে সমালোচিত হওয়া এমন ব্যক্তিও আছেন কমিটিতে। গত বছরের মে মাসে সাতকানিয়ায় ইটভাটায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে র্যাবের হাতে আটক হওয়া একজনকে সদস্য রাখা হয়েছে। রাজাকারের নাতিও আছেন কমিটিতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটি থেকে পদত্যাগ করা মোহাম্মদ রায়হানুল হক চৌধুরী, মো. জহির উদ্দিন বাবর, মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, সনেট দাশ, সাইফুল আজাদ সুজন, মো. সোহেল প্রমুখ।