বাঁশখালী প্রধান সড়কে ঘটছে নিত্য দুর্ঘটনা

চার লেনের জন্য অপেক্ষা, ভোগান্তি

কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী | শনিবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী আনোয়ারা সড়কটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী। যত্রতত্র লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এবং প্রশিক্ষণহীন চালকের কারণে এ সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে। চলতি বছরে শতাধিক দুর্ঘটনার পাশাপাশি অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে এ সড়কে দুর্ঘটনার কারণে।

বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সরু সড়কটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী গাড়ি চলাচলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত দিনে টানেল চালুর পর থেকে। অথচ টানেল চালুর পর আনোয়ারা, বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ক চার লেন হবে এ স্বপ্নে বিভোর ছিল। সে স্বপ্ন অধরার পাশাপাশি একমাত্র সড়কটি সংস্কার না করায় বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এবং দুপাশে ভেঙে পড়ছে।

বাঁশখালীর পুকুরিয়া থেকে প্রেমবাজার পর্যন্ত দুই পাশের সড়ক সমপ্রসারণ ও সড়কের দুই পাশে রাখা মালামাল যদি সরিয়ে নেওয়া না হয় প্রতিনিয়ন দুর্ঘটনার পাশাপাশি এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের যানজটের কবলে পড়ে অন্তহীন ভোগান্তি পোহাতে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজারগামী যাত্রী কাইয়ুম সিকদার বলেন, সড়ক সরু ও যানজটের ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কোথাও যাওয়া সম্ভব হয় না। বাঁশখালীর কালীপুরের গুনাগরির যানজটের ভোগান্তি সব চেয়ে তীব্র। অথচ এ সড়ক হয়ে কক্সবাজার যাওয়া সময় এবং কম দূরত্বে যাওয়া সম্ভব বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাঁশখালীর প্রধান সড়কের যানজট নিরসনের ব্যাপারে সমাজকর্মী মো: নিজাম উদ্দিন বলেন, সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবং বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ডকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু স্থানে অভিযান করে যানজট নিরসনের চেষ্টা করলে আবারো পুনরায় যানজট সৃষ্টি হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বিষমুক্ত সবজি চাষে সফলতা
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে ইলমুন নূর বৃত্তি পরীক্ষা