বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনি পাহাড় এলাকায় একটি বন্যহাতিকে বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে মেরে পুঁতে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর রেঞ্জের লটমনি মৌজায় (অনেকের মতে সাতকানিয়া অংশ ) একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হাতির (আনুমানিক বয়স ২০-২২ বছর) ময়নাতদন্ত করা হয়।
আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) হাতিটির ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারদ্বয় জানান, হাতিটিকে প্রায় তিনদিন আগে বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে মারা হয়। দুষ্কৃতকারীরা হাতিটি মেরে ফেলার পর যাতে জনগণ দেখতে না পায় সেজন্য সেটিকে মাটি চাপা দেয়। কিন্ত পাহাড়ে কাজ করতে যাওয়া লোকজন তা আঁচ করতে পেরে বনবিভাগের কালীপুর রেঞ্জের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
আজ বুধবার ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. শাহজাদা মোহাম্মদ জুলকারনাইন শাওন, বাঁশখালী উপজেলার প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. শুভ দাশ ও ডা. মো. তানজীর হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং বাঁশখালী উপজেলার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে কালীপুর রেঞ্জে ৫টি এবং জলদী রেঞ্জে ১টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেও তার প্রকৃত কারণ প্রকাশিত হয়নি।
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, “সাধনপুর ইউনিয়নের লটমনি পাহাড় এলাকায় একটি হাতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।”
আজ বুধবার সকালে বনবিভাগের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করছে এবং কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বনবিভাগের কালীপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, “সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। তবে এর আগে হাতিটি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। আমরা হাতিটি মাটির নিচ থেকে তুলে এনেছি। হাতিটির ময়নাতদন্তের জন্য ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে।”
ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ এবং বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, “কালীপুর রেঞ্জ এলাকায় হাতির মৃত্যুর খবর অবহিত হয়েছি।”
এ খবর উদ্বেগপূর্ণ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।