নির্বাচন নিয়ে বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেফাঁস মন্তব্যের ‘প্রমাণ’ মিলেছে নির্বাচন কমিশন গঠিত কমিটির তদন্তে। তদন্ত কমিটি দুজনকে অভিযুক্ত করে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে। যদিও ওই দুই চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী নিজেদের ওই মন্তব্যকে ‘প্রতিপক্ষের লোকজন ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে’ বলে দাবি করেছেন।
বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেন, ‘ইভিএম না থাকলে রাতেই ভোট নিয়ে নিতাম’। অপরদিকে পুইঁছড়িতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চু তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় ‘নিজেকে সরকারি দলের গুন্ডা এবং আমার তো সরকারি গুন্ডা আছে’ বলে বক্তব্য দিয়েছেন। চাম্বল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী বাংলাবাজার এলাকায় ২৮ মে এবং পুইঁছড়িতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চু ৩০ মে সন্ধ্যায়
তাদের নির্বাচনীয় সভায় এ ধরণের বেফাঁস মন্তব্য করেন বলে ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। এর পরই তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আসলে বিষয়টি তদন্তের জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে পৃথক ভাবে তদন্ত করা হয়। ইতোমধ্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা: জাহাঙ্গীর হোসাইন। তিনি গতকাল আজাদীকে জানান, বাঁশখালীর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ইভিএমে ভোট গ্রহণসহ বেফাঁস মন্তব্য করায় নির্বাচন কমিশন থেকে তদন্ত করার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তার তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম আজাদীকে বলেন, ‘বাঁশখালী ইউপি নির্বাচন নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেফাঁস মন্তব্যের ব্যাপারে তদন্তের যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে–আমরা তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই দুই ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রকর স্যারও (পাঁচলাইশ থানার নির্বাচন কর্মকর্তা রকর চাকমা) তদন্ত করেছেন। এখন নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে সেটা আমরা কার্যকর করব।’