বাঁশখালীর এক বেকারিতে শ্রমিক খুন

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় মায়ের দোয়া বেকারি থেকে শাহ আলম (৩৫) নামে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে বেকারি লাশ উদ্ধারের পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শাহ আলম সাতকানিয়ার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রুপ কানিয়া ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মাইজপাড়া জাহাঙ্গিরের বাড়ির মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র। তিনি প্রায় দুই বছর ধরে ওই বেকারিতে কাজ করছিলেন।

সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত শাহ আলমের সাথে ওই বেকারির আরেক শ্রমিক মাহাবুব আলমের সাথে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন বেকারির ব্যবস্থাপক তাদের সরিয়ে দেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে বেকারির অন্য শ্রমিকরা ফজরের নামাজ পড়ে এসে শাহ্‌ আলমকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেকারিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বেকারির মালিক এজহারুল হক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত শাহ আলমের সাথে মাহাবুব আলমের কথা কাটাকাটি ও মারামারির খবর পেয়ে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাতে শাহ আলমসহ ৭/৮ জন শ্রমিক বেকারিতে ছিলেন। মাহাবুব প্রতিদিন বাড়িতে চলে যায়, সকালে আসেন কাজে। ঘটনার রাতে শাহ আলমের সাথে থাকা কয়েকজন শ্রমিক শুক্রবার ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে চলে যায়। শাহ্‌ আলম উঠে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। নামাজ শেষে আসা শ্রমিকরা শাহ আলমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত শাহ আলমের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শুধাংশু শেখর হাওলাদার জানান, বেকারির শ্রমিক শাহ আলমকে হত্যার যে ঘটনা ঘটেছে তার কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও সন্দেহজনক মাহবুব আলম নামে একজন পলাতক রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে প্রেমিকের ৭ বছর কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধনাগরদোলায় উঠার সময় ওড়না পেঁচিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু