বাঁশখালীতে পৃথক দু’টি হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পূর্ব পুঁইছড়ি এলাকায় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. সায়মন (১২) এবং কাথরিয়ায় গৃহবধূ রাশেদা বেগম (৩২) গুরুতর জখম হয়েছে।
উভয় ঘটনায় মামলার করা হচ্ছে বলে আহতদের সূত্রে জানা গেছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইঁছড়ি এলাকার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. সায়মনের ওপর হামলার অভিযোগে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার শিকার মো. সায়মন বর্তমানে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
থানায় প্রদত্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকসানা আক্তারের সাথে স্থানীয় মুরাদ গংদের পারিবারিক বিরোধ ও মামলা চলে আসছিল। এরই জের ধরে শিক্ষার্থী মো. সায়মন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুঁইছড়ির প্রেম বাজারে বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে তার ওপর হামলা করে মারাত্মক জখম করা হয়। রাতে তাকে বাঁশখালী হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আজ বুধবার আহত শিক্ষার্থী মো. সায়মনের মা রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে, বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাগমারা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাশেদা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (১৯ মে) দুপুরে সংঘটিত এ ঘটনায় আহত হন রাশেদা বেগমের স্বামী মো. মাহফুজ সহ আরও অন্তত ৩ জন।
গুরুতর আহত ওই গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরাপর আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই দীপক সিংহ ও এসআই লিটন চাকমা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে সংঘটিত এ ঘটনায় রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মো. মাহফুজ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর পৃথক ২টি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, “পুঁইছড়ি এলাকার স্কুল শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। অপরদিকে, কাথরিয়ার ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”