বাঁশখালীতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মা কানন বালা চক্রবর্তীর মৃত্যুর একমাস পর ছেলে নয়ন চক্রবর্তীর (৪০) মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নয়নের মা কানন বালা চক্রবর্তী (৭০) আর গত সোমবার রাতে মারা যান তার পুত্র নয়ন চক্রবর্তী। গতকাল নিহত নয়ন চক্রবর্তীর লাশ বাঁশখালী উপজেলার জলদী মহাজন পাড়ার বাড়িতে আনা হয়।
নিহত নয়ন চক্রবর্তীর স্ত্রী ইমা চক্রবর্তী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শান্তনু চক্রবর্তী (৪০), তার স্ত্রী মনীষা চক্রবর্তী (৩২) ও মাস্টার অনজন চক্রবর্তীসহ (৫২) ৩ জনকে আটক করে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার পর আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের পর আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট দক্ষিণ জলদী গ্রামের মহাজন পাড়ার শান্তনু চক্রবর্তী নিহত নিকট আত্মীয় কানন বালা চক্রবর্তীদের পারিবারিক নিমন্ত্রণ দিলে সেখানে খাবার খেতে যান কানন বালা, তার পুত্র নয়ন চক্রবর্তী ও পুত্রবধূ ইমা চক্রবর্তীসহ তার কয়েকজন নাতি।তারা রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফেরার পর হঠাৎ খারাপ অনুভব করলে সবাইকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় কানন বালা মারা যান। গত সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন নয়নের মৃত্যু হয়। গতকাল পারিবারিক শ্মশানে তার অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।