বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী অন্তঃসত্বা হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০(স:০৩) এর ৯(১) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং ৩১।
বাঁশখালী থানায় শিক্ষার্থীর মায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর তিনি তার মায়ের অসুস্থতার জন্য চমেক হাসপাতালে অবস্থান করলে সেদিন রাতে অভিযুক্ত কাথরিয়ার ইয়াকুব নবীর পুত্র সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ রুবেল তাদের বাড়িতে গিয়ে তার কন্যাকে ধর্ষণ করে। পরে মা বাড়িতে আসলে শিক্ষার্থীটি ঘটনাটি মাকে জানালে মা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। তবে চেয়ারম্যানের আহ্বানে সালিশী বিচারে সাড়া দেয়নি মোহাম্মদ রুবেল।
অপরদিকে ধর্ষণের শিক্ষার্থীটি অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে গত ২৮ নভেম্বর চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করালে শিক্ষার্থীটি তিন মাসের অন্তঃসত্বা বলে জানা যায়।
চমেক হাসপাতালের ওসিসি সূত্র চমেকহা/ওসিসি(পুলিশ) ৯৯(২)-এর আলোকে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-১১৪০) করা হয়।
পরে মেয়ের মা বাদী হয়ে কাথরিয়ার ইয়াকুব নবীর পুত্র মোহাম্মদ রুবেলকে একমাত্র আসামি করে বাঁশখালী থানায় মামলা (নং ৩১) দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, “চমেক হাসপাতালে ওসিসি রিপোর্টের প্রেক্ষিতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামি রুবেলকে বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই সঞ্জয় রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাথরিয়া এলাকা থেকে আটক করেছে।”