বাঁশখালীতে নিয়মবহির্ভূভাবে চালানোর অভিযোগে চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা ও রত্নপুর গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল হোসেন। তাদের সহযোগিতা করেন র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ দল। বাঁশখালীর বাহারছড়ার একস্থানে ৩টিসহ ৫টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে ১টি ইটভাটা মামলার কারণে বন্ধ থাকলেও অপর ৪টি ইটভাটা গুঁটিয়ে দেয়া হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামে নবনির্মিত মো. আজিজের মালিকানাধীন ইটভাটাটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও মধ্য ইলশা গ্রামের অন্য ৩টি ইটভাটার বয়লার চিমনি ফুটো করে দেয়া হয়েছে। কাঁচা ইট গুলোও ভেঙে দেয়া হয়েছে। ইটভাটা গুলো হলো- উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মরর্তুজালী চৌধুরীর মালিকানাধীন চৌধুরী ব্রিকস্-১, জামাল উদ্দীনের চৌধুরী ব্রিকস্্-২, জয়নাল আবেদীন ঝন্টুর মালিকানাধীন এম.বি.এম ও আজিজ আহমদের মালিকানাধীন ১টি ইটভাটা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল হোসেন জানান, ইটভাটাগুলোর জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ, জিকঝাক চিমনির পরিবর্তে বয়লার বধ চিমনি ব্যবহার করা করে বনের কাঠ পুড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। তাই অভিযান পরিচালনা করে এই চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।