বাংলাদেশের সীমানায় কেউ আক্রমণ করলে তা মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, বহিঃশত্রুর যেকোনো আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা রয়েছে। আমরা শান্তিপ্রিয়, কারো সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। কিন্ত কেউ যদি আমাদের সঙ্গে অযথা বিভেদ সৃষ্টি করতে আসে সেক্ষেত্রে আমরা বসে থাকব না।
গতকাল শনিবার দুপুরে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাশে শরীয়তপুরে জাজিরার নাওডোবাতে শেখ রাসেল সেনানিবাসে পতাকা উত্তোলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের নৌপথে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রলারে টানা কয়েকদিন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওইসব ট্রলারের চালক ও যাত্রীদের ধারণা, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে এসব গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এ কারণে টানা আট দিন এ নৌপথে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর দিয়ে বিকল্প পথে সেন্টমার্টিনে আটকাপড়াদের টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার টেকনাফ থেকে পণ্যবাহী যান যায় সেন্টমার্টিনে। খবর বিডিনিউজের।
এর মধ্যেই নাফ নদীর মিয়ানমারের জলসীমায় বুধবার থেকে একটি যুদ্ধজাহাজের দেখা মেলে। এরপর সেখান থেকে প্রতিদিন গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায় টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। যদিও গতকাল সকাল থেকে সেই জাহাজ আর দেখা যাচ্ছে না, গোলাগুলির শব্দও আর আসছে না। এর মধ্যে সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি নিজেদের সক্ষমতার কথা জানান। তিনি নাওডোবায় ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ১২৯ ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন করেন।
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রণীত হয় ফোর্সেস গোল–২০৩০। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ফোর্সেস গোল–২০৩০ এর আরেক ধাপ বাস্তাবায়িত হলো।