বহমান সময়

ফজলুল হক | সোমবার , ৬ মে, ২০২৪ at ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

স্বৈরাচার কে? এ প্রশ্নটি মাঝে মধ্যে আমাদেরকে করা হয়, ডিক্টেটর কে? এই প্রশ্ন শুনে বয়স্ক লোকজন তাৎক্ষণিক উত্তর দেন সর্বশ্রেষ্ঠ স্বৈরাচার বা ডিক্টেটর হচ্ছে হিটলার। কেউ কেউ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এবং তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে জঘন্য মিলিটারি ডিক্টেটর হিসেবে চিহ্নিত করেন। পাকিস্তানের দীর্ঘ শাসনকালের আইয়ুব খান এবং ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে মানুষের প্রতি যে জঘন্য বৈষম্যমূলক শোষণ নিপীড়নমূলক আচরণ করেছে তাতে তৎকালীন পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে আমি প্রশ্নাতীতভাবে পাকিস্তানের এই দুই শাসককে স্বৈরাচারী শাসক মনে করতাম। কিন্তু একটি অবাক বিষয় হলো পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল আজম খান তখন জনপ্রিয় ছিলেন এবং আমরা তাকে ডিক্টেটর হিসেবে অভিহিত করতাম না।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জেনারেল এরশাদের শাসনামলে বিরোধী দলগুলি এরশাদকে শুধুমাত্র একজন সামরিক স্বৈরাচারী হিসেবে অভিহিত করেছেন তা নয় বরং তাকে ক্ষমতচ্যুত করার দাবি জানিয়ে তাকে বিশ্ব বেহায়া নামে অভিহিত করেছেন। এমনকি অনেকে জিয়াউর রহমানকেও সামরিক ডিক্টেটর হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকেও কর্তৃত্ববাদী শাসক রুপে অভিহিত করেন। সুতরাং এ প্রশ্নটি আমরা খুবই সহজ প্রশ্ন বলে মনে করি। প্রশ্নটি হচ্ছে স্বৈরাচার কে। এটি আসলে তাদের সহজ ভাষ্য নয় এবং এর সহজ কোনো উত্তর কারো জানা নাই।

হিটলার যদি সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক বা ডিক্টেটর হয়ে থাকে তাহলে আজ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী যে বর্বর কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের মানুষকে হত্যা করছে তাহলে নেতানিয়াহুকে কি বলা যায়? তাকে তো হিটলারের চেয়েও আরো জঘন্য ডিক্টেটর বলা যেতে পারে হয়তোবা কেউ কেউ বলবেও।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বা বৃটেনে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক শোষণ এবং সামরিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে যা কিছু করেন তার মধ্যেও তো স্বৈরাচারের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশ্বে অনেক বিশেষজ্ঞ পশ্চিমা সামরিক জোটের অনেক কর্মকর্তা রাশিয়া চীন উত্তর কোরিয়া এই সমস্ত দেশের শাসকগণকে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে অভিহিত করে ।

মাও সেতুং বা লেলিনকেও পুঁজিবাদী বিশ্বের বুদ্ধিজীবীরা কর্তৃত্ববাদী শাসক মনে করতেন। এমনকি জর্জ অরওয়েল রাশিয়ান সামাজিক ব্যবস্থাকে এনিমেল ফার্ম বা পশুর খামার এর সাথে তুলনা করতে দ্বিধাবোধ করেননি। শুধু কি রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় স্বৈরাচারের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায় নাকি সমাজের অন্যান্য স্তরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজে স্বৈরাচারী স্বভাব বা স্বৈরাচারী প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকতে পারে কিনা, এই প্রশ্নটিও আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে।

ব্যবসাবাণিজ্যের বড় বড় ক্ষেত্রগুলিতে অনেক বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানি, সংস্থা কাজ করে। সেখানে বিপুল জনবল থাকে এবং জটিল প্রশাসনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাও থাকে। সেটাও একটি সাম্রাজ্যের মতো যাকে আমরা বলি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য। যার অসংখ্য ভোক্তা এবং ক্রেতা থাকে। অনেক কর্মচারী থাকে। সেখানে স্বৈরাচারী মনোভাব ব্যবস্থাপকগণের মধ্যে বিরাজ করে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে ডগলাস ম্যাকগ্রেগর দি হিউম্যান সাইড অফ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি বই লিখেছেন। তিনি কর্মরত কর্মীদের এবং ব্যবস্থাপকদের মনোভাব বিশ্লেষণ করে বলেছেন, একই ব্যক্তির ভিতর দুই ধরনের মনোভাব বিরাজ করে। একই ব্যক্তি কিংবা কোনো কোনো ব্যক্তি মনে করে যে মানুষ জন্ম মুহূর্তে থেকে তার কাজ করার প্রতি অনীহা প্রকাশ করতে থাকে সে কাজে ফাঁকি দিতে চায়, কাজ করতে চায় না, বেশি লাভবান হতে চায়, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়, অন্যের সুযোগসুবিধা খর্ব করতে চায় এভাবে তার ভিতরে অনেক নেগেটিভ বা নেতিবাচক মনোভাব একসাথে জড়ো হয়। যখন সে এ মনোভাবের বশবর্তী হয়ে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অথবা পরিবারের সদস্যদের সাথে তার ইন্টারেকশন হয় তখন সে একজন নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ হিসেবে সব সময় অন্যের ওপরে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে পারে। সে মনে করবে মানুষের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে হলে তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে, তাকে শাস্তি দিতে হবে, তাকে ভয় দেখাতে হবে। এভাবে সে বল প্রয়োগের ওপরে নির্ভরশীল হবে এবং তার অধীনে কর্মরত লোকজন অথবা তার পরিবারে সদস্যগণ অথবা তার আত্মীয়স্বজন, তার বন্ধুবান্ধব সবাই তাকে কর্তৃতবাদী মানুষ মনে করতে থাকবে এবং সে শেষ পর্যন্ত এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত হবে।

সুতরাং রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সামরিক প্রশাসনের বাহিরে সাধারণ মানুষ বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সমাজে কর্তৃত্ববাদী দেখা পাওয়া যেতে পারে। সুতরাং হিটলার একমাত্র কর্তৃত্ববাদী বা নেতানিয়াহু একমাত্র কর্তৃত্ববাদী এমন কোন ব্যাপার নয়। কর্তৃত্ববাদের যে মনোভাব সেটা যে কোনো স্তরে যে কোনো মানুষের মধ্যেই তৈরি হতে পারে। একজন পিতা তার পুত্রের ওপরে ভাই একজন পুত্র তার পিতার ওপরে কর্তৃত্ববাদী হতে পারে, একজন স্বামী তার স্ত্রীর উপরে বা স্ত্রী তার স্বামীর উপরে ও কর্তৃতবাদী হতে পারে।

অন্যদিকে ডগলাস ম্যাকগ্রেগর বলেছেন, সমাজে বা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে এমন লোক আছে যিনি, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলাফেরা করেন। তিনি মনে করেন যা মানুষ জন্ম মুহূর্ত থেকে কাজ করতে চায়, কাজ ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। কোনো মানুষ গৃহবন্দী থাকলে তাকে লক্ষ লক্ষ ডলার দেওয়া হবে এরকম প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও সে গৃহবন্দী থাকতে চাইবে না এবং ডলার প্রস্তাব গ্রহণ করবে না। সে কাজ করতে চাইবে, সে মানুষের সেবা করতে চাইবে, মানুষের দুঃখ দুর্দশায় তার বেদনা হবে এবং কেউ অভাবগ্রস্ত থাকলে ছুটে যাবে। এই সমস্ত মনোভাবের লোকেরা সবসময় গণতান্ত্রিক আচরণ করে এবং তারা যখন কোন মানুষের উপকারের ব্যর্থ হয় তখন সে দায়িত্বটা ছেড়ে দেয়। এই সমস্ত লোক যদি কোন রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে থাকে সেই লোক সবসময় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা মানুষজনের কাছে একজন জনপ্রিয় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে এবং এরকম উদাহরণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়।

সুতরাং কোথায় কে ডিক্টেটর হবে আর কে গণতান্ত্রিক মানব সম্পন্ন হবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কি মনোভাব দ্বারা সে পরিচালিত হচ্ছে তার ওপর। রাজনীতি ক্ষেত্রে যদি নেতিবাচক মনোভাবের জনসংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে পুরো রাজনীতি এবং রাষ্ট্র ডিক্টেটরে ভরে যেতে পারে। এই বিষয়টি আরো বহু বিস্তারিত আলাপআলোচনা হয় এবং পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ব্যবসা বাণিজ্যের সর্বক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মনোভাবের প্রশাসন কাজ করছে। উন্নত দেশগুলোতে এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসার পরিচালকরা কর্মচারীদের চোখে চোখে রেখে নিয়ন্ত্রণ করেন না বরং তাদের দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করা হয় এবং কর্মীরা নিজেদের মধ্যে নিজেরাই বিভিন্ন সৃষ্টিশীল প্রোগ্রাম কর্মসূচি নিয়ে কাজে আত্মনিয়োগ করে। সবচেয়ে বড় কথা হলো জোর করে কোনো রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না, জোর করে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বাড়ানো যাবে না মানুষকে দিয়ে জোর করে দেশেরও উন্নয়ন ঘটানো যাবে না। এখানে ব্যাপক গণতান্ত্রিক মানসিকতার নেতৃত্ব আসতে হবে এবং মানুষের ভিতরে সেই গণতান্ত্রিক মনোভাবটা ছড়িয়ে দিতে হবে। এই বিষয়টি একটি চর্চার বিষয় এবং অন্য মানুষকে নেতিবাচক বা নেগেটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষকে সবসময় শত্রু মনে করা, আপনার বিরোধী যারা সমালোচক আছেন তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার চিন্তা ভাবনা করা এই জায়গা থেকে স্বৈরাচারী মনোভাবের সৃষ্টি হয়। ফলে গণতান্ত্রিকভাবে জনপ্রিয় একজন নেতার ভিতর স্বৈরাচারী মনোভাব লুকিয়ে থাকবে না এরকম নিশ্চয়তা দেওয়া খুবই কঠিন।

আরেকটি বিষয় হলো যখন আমরা কোন একটা এন্টারপ্রাইজ পরিচালনা করি সেটা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক হোক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোক, সেটা সমাজের যেকোনো সংস্থা হোক, সিটি কর্পোরেশন হোক, ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল হোক, ইউনিয়ন পরিষদ হোক যাই আমরা পরিচালনা করি সেখানে আমাদের পরিচালকদের বা প্রশাসকদের দুটি কাজ আছে। একটি হল রুটিন প্রশাসনিক কাজ করা, এই রুটিন কাজগুলির মধ্যে আছে পরিকল্পনা তৈরি করা, সংগঠনকে শক্তিশালী করা, সমন্বয় করাসহ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। কিন্তু এই রুটিন কাজগুলির বাহিরে রোল প্লেইং মেথড নামে একটি তত্ত্ব আছে। সিটি কর্পোরেশনের একজন মেয়র, সরকারের একজন মন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য অথবা যে কোন সংস্থার একজন প্রধান শুধু রুটিন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন সে ক্ষেত্রে তিনি জনগণের কাছে খুবই প্রিয় হতে পারবেন না। তাকে রোল প্লেইং কার্যাবলী অর্থাৎ নেতৃত্বের গুণাবলী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাকে তথ্যউপরে নিচে পাঠানোর মত জটিল ভূমিকা পালন করা,তাকে মানুষের সুখদুঃখ বুঝার মত ভূমিকা পালন করা, এরকম প্রায় দশটির অধিক ভূমিকা তাকে পালন করতে হবে। যাতে প্রশাসনিক কাজ অর্থাৎ এডমিনিস্ট্রেটিভ জব এর পাশাপাশি রোল প্লেইং জব দুইটাই সে পালন করে তখনই এই প্রশাসক জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন।

সবশেষে পশ্চিমা বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই মজার একটি বিষয় এখানে বলি, সেটি হচ্ছে পশ্চিমারা যখন কোম্পানি গঠন করেন সে কোম্পানি ব্যবসাবাণিজ্য পরিচালনার জন্য পরিচালকরা স্পুন ফিডিং পদ্ধতি অনুসরণ করেন অর্থাৎ শিশুকে চামচে করে খাওয়ানোর মতো কোম্পানিকে সেইভাবে তাকে নার্সিং করেন। কিন্তু এই কোম্পানি যদি ম্যাচিউরড হয় পরিপক্ব হয় তখন যদি তাকে শিশুর মত স্পুন ফিডিং করা হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে কোম্পানি নিজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারবে না সে পুরাতন পরিচালকদের ওপরে বা বর্তমান পরিচালকদের ওপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। একটি বিশ্বমানের প্রযুক্তি সম্পন্ন কোম্পানি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে এটি কোনো পরিচালকের বা ব্যক্তির উপরে বা মালিকের ওপরে নির্ভরশীল হয়ে যাওয়াটা, এটাকে খারাপ একটা নাম দেওয়া হয়েছে যাকে বলা হয় ‘বেবি কোম্পানি কালচার ইন দি বডি অফ এ ম্যাচিউরড কোম্পানি’। গরিব দেশগুলিতে যারা সরকারে আসেন তারা রাষ্ট্রকে স্পুন ফিডিং অর্থাৎ চামচ দিয়ে শিশুর মত খাওয়াতে চান কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রবণতা হচ্ছে সে নীতির ওপরে ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে। কিন্তু রাষ্ট্রের পরিচালক বা মন্ত্রী রাষ্ট্রের নির্বাচিত নেতারা রাষ্ট্রকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হতে না দিয়ে নিজেরাই হস্তক্ষেপ করেন। কখনো আদর্শের কথা বলা হয়, কখনো উন্নয়নের কথা বলা হয়,কখনো জনগণেরও দোহায় দেওয়া হয়। কিন্তু কোটি কোটি জনগণের তুলনায় একজন বা কয়েকজন নেতা কোটি জনগণের সব ভালো মন্দ বুঝবে এমন কোনো কথা নাই। তাই জনগণের দ্বারা নির্ধারিত নীতির বাইরে যখন একটি পরিপক্ব রাষ্ট্রে বেবি কোম্পানি কালচার রাজনীতির নামে প্রতিষ্ঠিত করা হয় তখন সে রাষ্ট্রে স্বৈরাচারের চেহারা পরিপুষ্ট হতে থাকে।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, কলামিস্ট।

সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅ্যাডভোকেট এ এম য়্যাহয়্যা : আইনজীবী ও সমাজহিতৈষী
পরবর্তী নিবন্ধ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা