জামাত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারদের ব্রাশফায়ারে ২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার চত্বরে নিহত আট শহীদ ছাত্রলীগ নেতার শাহাদাত বার্ষিকীতে–পুনঃতদন্ত করে আট শহীদের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের যথাযথ বিচারের দাবিতে নগরীতে যুবলীগ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। এসময় জামাত শিবিরের ব্রাশফায়ারে নিহত আট শহীদ ছাত্রলীগ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ বায়েজিদ বোস্তামিসহ শহীদের কবরে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাদ জুমা হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রাঃ) মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শুক্রবার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল টেক্সটাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে বায়েজিদ মাজার গেইট এলাকায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম আবুর সভাপতিত্বে ও ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান সার্জিল বাবুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাকিল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাবেদ, সদস্য শেখ সুমন, মহানগর যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ–সভাপতি আশিকুর রহমান খোকন, যুবসংগঠক সোহেল রানা, খন্দকার নিশাত, ওসমান গণি মনা, নুরুল আলম নুরু, নাজিম উদ্দীন, নুরে আলম মুন্না, সাদ্দাম হোসেন, শেখ আলাল, শামীম প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবুন্দ বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদেশে ধর্মভিত্তিক সামপ্রদায়িক রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদেরকে বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে এ দেশে হত্যা, ক্যু–ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় মৌলবাদী গোষ্ঠী জামাত শিবির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে হত্যার রাজনীতির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বক্তারা আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হত্যা মামলা পুনঃ তদন্তের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী দোষীদের বিচার এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদী অপশক্তি জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।