বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবির দর্শন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী

বড় দুঃখ হয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কোনো র‌্যাংকিংয়ে নেই : উপাচার্য

চবি প্রতিনিধি | শনিবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ at ৮:৫২ অপরাহ্ণ

৫০ বছর পূর্ণ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দর্শন বিভাগ। এ উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে বিভাগটি। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী চবির জারুলতলায় পালিত হয় এ সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এর আগে গত ১৬ অক্টোবর প্রথমবারের মতো বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। বর্তমানে চবির দর্শন বিভাগের অনার্স, মাস্টার্সসহ এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। পাঁচ দশকের পথচলায় প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী এখান থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ২০২৩ সালে বিভাগে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীশিক্ষকদের মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, বড় দুঃখ হয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কোনো র‌্যাংকিংয়ে নেই। কেন নেই? আমি খুব চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছি না। তবে ইনশাআল্লাহ আগামী দুএক বছরের মধ্যে আমরা র‌্যাংকিংয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। সেই জায়গায় আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। অ্যালামনাইরা চাইলে অনেককিছু পারে। বিদেশের অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় চলে। আপনারা অনেক ভালো ভালো জায়গায় আছেন, ধনাঢ্য ব্যক্তিরা আছেন, হৃদয়বান ব্যক্তিরা আছেন। আপনারা এগিয়ে আসবেন, এটা আপনাদেরই বিশ্ববিদ্যালয়। পৃথিবীর অগ্রগতিতে সাহিত্য ও দর্শনের অনেক ভূমিকা রয়েছে। এরিস্টটল, সক্রেটিস থেকে শুরু করে সব দার্শনিকরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। পৃথিবীর মানুষ দর্শন ও দার্শনিকদের কাছে ঋণী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘাসফুল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধকবিতা মূলত বোধ আর অভিজ্ঞতার স্বরলিপি, শব্দের আড়ম্বরতা নয়