চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলা সীমান্তের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত চাঁনখালী খালের উপর অত্যাধুনিক পিসি গার্ডার সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা উদ্বোধনের। সেতুটি উদ্বোধনের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলা সীমান্তের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী চাঁনখালী খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য দুই উপজেলার বাসিন্দাদের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষে এ দুই উপজেলার অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম চাঁনখালী খালে প্রায় সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৮ মিটার লম্বা ও ১০.৩০ মিটার প্রস্থের অত্যাধুনিক পিসি গার্ডার সেতু এখন দৃশ্যমান। ইতিমধ্যে সেতুর দুই প্রান্তে ৭শ ৭০ মিটার সংযোগ সড়ক ও কাপেটিংসহ পুরো সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে ওই স্থানে পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু করে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
দোহাজারী সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ রাফিজ বিন মনজুর বলেন, বরকল সেতুর শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, সেতুটি নির্মাণে যথাযথ মেডিগেশন হাইট রাখা হয়েছে, ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের স্টিল, ল্যাবরেটরিতে যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ফিল্ডে যে টিমগুলো ছিল তারা নিয়মিত দেখাশুনা করেছেন। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁনখালী খালের উপর ১৯৯৪ সালে স্থাপিত বেইলি সেতুর পাশেই নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক এ সেতুটি। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একধাপ এগিয়ে যাবে চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলা। দুই উপজেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য, আনোয়ারা অঞ্চলে স্থাপিত বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের মালামাল ও সার কারখানার সার পরিবহন সহজ হবে। তাছাড়া কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেলের সাথে সরাসরি যুক্ত হবে পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় দুই উপজেলার বাসিন্দারাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
বরকল ইউনিয়নের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা মো.
আনছারুল হক বলেন, বরকল সেতু নির্মাণ হওয়ায় চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলাবাসীর যোগাযোগে যেমন আমূল পরিবর্তন আসবে, তেমনি এখানকার জায়গা-জমির দামও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। উন্নত হবে জীবনমান। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এখন আনোয়ারার পাশাপাশি আমাদের বরকল এলাকায়ও বড় বড় শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে বলে আশা করি।
দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, বরকল সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধনের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে আমরা এটি উদ্বোধন করতে পারবো।












