সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের অধীনে ১৫শ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। চট্টগ্রাম জোনের মধ্যে ফেনী থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত ৩১২ কিলোমিটারসহ পুরো চট্টগ্রাম জেলা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ এবং তিন পার্বত্য জেলা। সওজে সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ের বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম জোনের অধীনে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়ক গুলোর মধ্যে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক জরুরি ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক গুলো জরুরি ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী সময়ে মেরামতে ৫০ কোটি টাকা ঢাকাস্থ সড়ক ভবন থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অপরদিকে দীর্ঘমেয়াদী মেরামতের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম জোনের সাথে কথা বলে জানা গেছে। প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৫০ কিলোমিটার সড়ক সবটাই বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনটা নয়। কোথাও হালকা–কোথাও মাঝারি আবার কোথাও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
এই ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন আজাদীকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় আমাদের–সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম জোনে–ফেনী থেকে টেকনাফ এবং তিন পার্বত্যজেলায় ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক স্বল্প মেয়াদী মেরামতের জন্য ৫০ কোটি টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদী মেরামতের জন্য ১০০ কোটি চাওয়া হয়েছে।
সড়ক বিভাগ চট্টগ্রাম জোনে মোট ১৫০০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রাম জোনে ১৫০ কিলোমিটার সড়ক কোথাও হালকা–কোথাও মাঝারি আবার কোথাও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
১৫০০ কিলোমিটার সড়কের ঢাকা–চট্টগ্রাম (ফেনী থেকে কঙবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত) ৩১২ কিলোমিটার। চট্টগ্রামে (মীরসরাই–ফটিকছড়ি ১২ কিলোমিটার, নোয়াপাড়া– রাউজান ১৫ কিলোমিটার, রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন ঘাট–মুসলিমাবাদ ১৭ কিলোমিটার) এবং রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান সড়ক।