বন্ধ শাহপরীর দ্বীপ জেটি, গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ

| সোমবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ২:৩১ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রুর বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্তের ঘাঁটিগুলো এখন আরকান আর্মি দখলে। সেখানে আপাতত গোলাগুলি বন্ধ হলেও এবার টেকনাফের সীমান্তের ওপারে চলছে তুমুল লড়াই। মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দে ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠছে এপাড়ের ঘরবাড়ি। নিরপাত্তার কারণে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের ভ্রমণে চলাচল বন্ধ রেখেছে বিজিবি।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালেও ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের।

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে গোলাগুলিতে নিরাপত্তার কারণে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

আজকেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটি মিয়ানমারের অনেকে ভেতরে। তবে নতুন করে যাতে কেউ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ১৬৫ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার ভোর থেকে সোমবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।

শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের টোল আদায়কারী ছিদ্দিক আহমদ বলেন, নাফ নদীর বুকে জেটি ঘাটে ভ্রমণে প্রতিনিয়ত মানুষের আনাগোনা ছিল। কিন্তু সীমান্তের গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার কারণে এই জেটিতে দুইদিন ধরে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা যারা সীমান্তের বাসিন্দা রয়েছি, ওপারের গোলাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব পরেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে ওরশে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ৩
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৩