বন্ধ নয়, মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও থ্র্রি হুইলার নিয়ন্ত্রণে জোর মন্ত্রীর

এখন ঘরে বসেই পাওয়া যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স

| বুধবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ

মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেল বন্ধ না করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণের ওপর সরকার জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশে আপাতত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার চলাচল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। সে লক্ষ্যে একটি নীতিমালাও তৈরি করা হচ্ছে; যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া এখন থেকে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে জানিয়ে কাদের বলেন, আগামীকাল থেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তারা ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। শুধুমাত্র একবার তাকে পরীক্ষার জন্য বিআরটিএ কার্যালয়ে আসতে হবে। খবর বিডিনিউজের। গতকাল রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের
(বিআরটিএ) কার্যালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার চেয়ে নিয়ন্ত্রণটা কীভাবে করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে গুরুত্বটা বেশি দিচ্ছি। জনবহুল দেশে এটি বহু বেকারের কর্মসংস্থান। আমরা নীতিমালা করার কথা অলরেডি বলেছি। নীতিমালা হচ্ছে।
কীভাবে মনিটরিং হবে-এ প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা অতটা ক্লোজলি পারব না। বাস্তবতাটা আমাদের দেখতে হবে। আগেই বলে রেখেছি জনবল নেই। তারপর আমাদের মনিটরিং চলছে। এটা চলমান আছে। চাপের তুলনায় মহাসড়কে বিআরটিএ এবং হাইওয়ে পুলিশের জনবল বাড়েনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টায় আছি, জনবলটা বাড়াতে পারলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এবং চলাচল বন্ধ রেখে সেটিও কার্যকর করতে পারব।
কাদের বলেন, আমরা ঠিক করেছি ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল আমরা ক্লোজলি মনিটরিং করব। যেহেতু হাই কোর্টের একটি নির্দেশনা আছে মহাসড়কগুলোতে এসব তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না, তাই এই পাঁচ মহাসড়কে আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।
দেশে বাইশটি মহাসড়কের মধ্যে শুধু পাঁচটিতে কেন মনিটর করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ এবং ম্যানপাওয়ার (জনবল) অত বেশি নেই যে সারা দেশে এটা মনিটর করবে।
গত কয়েক বছর ধরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের তালিকায় উপরের দিকে থাকছে মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমন, অটোরিকশার মতো তিন চাকার বাহন। দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালের আগস্টে দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। হাই কোর্টও এ ধরনের বাহন বন্ধের বিষয়ে একাধিকার নির্দেশ দিয়েছে।
সড়কমন্ত্রী বলেন, রোড সেইফটি বিষয়ে আমরা একটি প্রজেক্ট দেখছি বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায়। প্রজেক্টের বাজেট ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকা। কারণ রোড সেইফটি আমাদের খুবই প্রয়োজন। সড়কের নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৮০০ কোটি মানুষ, দরকার ‘পৌনে দুটো’ পৃথিবী
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা শোনার জন্য মানুষ নিজ উদ্যোগে আসবে