বন্ধ করে দেয়া হলো পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা ৪টি ইটভাটা

পানি ছিটিয়ে নিভিয়ে দেয়া হলো ভাটার আগুন

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত ৪টি ইটভাটায় ইট পোড়ানো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভাটাগুলোতে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়েছে। একটি ভাটার চিমনি স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে ও লাইসেন্স বিহীন ইটভাটা স্থাপন এবং ইট পোড়ানোর অপরাধে একজনকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও দুই জনকে একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়ে উপজেলার এওচিয়ার ছনখোলা এলাকায় এসব ইটভাটা বন্ধ, জরিমানা আদায় ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সাতকানিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব ও সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা এসএম হুমায়ুন কার্ণায়েন উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, এওচিয়ার ছনখোলায় পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে বেশ কিছু ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে কিছু ইটভাটা একেবারে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে। এসব ভাটা মালিকরা পাহাড় কেটে ইট তৈরি করে আসছিল। ফলে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল এসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাতকানিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মোঃ তামিমের মালিকানাধীন মেসার্স হযরত আলী ব্রিকস, অঞ্জন করণের মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকস, শামসুল আলমের মেসার্স লোহাগাড়া ব্রিকস ও মেসার্স খাজা ব্রিকস বন্ধ করে দেয়। এসময় ভাটা গুলোতে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। এরমধ্যে মেসার্স হযরত আলী ব্রিকসের চিমনি স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকসের ম্যানেজার কিরণ সিকদারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং মেসার্স লোহাগাড়া ব্রিকসের ম্যানেজার মোঃ জহির ও মের্সাস হযরত আলী ব্রিকসের ম্যানেজার ফজলুল কাদেরকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী জানান, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইটভাটা মালিকরা আইন অমান্য করে অনেকটা পাহাড় ঘেঁষে ভাটা গুলো স্থাপন করেছে। এছাড়া তাদের কোনো ধরনের লাইসেন্স নাই। সাতকানিয়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা অন্যান্য ভাটা গুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাদ্য সংকটে আরাকান, বাংলাদেশ থেকে চোরাইপথে যাচ্ছে ভোগ্যপণ্য
পরবর্তী নিবন্ধপাঠক-লেখকের অন্তরঙ্গ আলাপন