বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় বন্ধু শহীদকে বাধা দেয় মো. কাউছার। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বন্ধু কাউছারকে ছুরিকাঘাতে খুন করে মো. শহীদ। গত ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘাতক মো. শহীদকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে হালিশহরের রাজমুকুট কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
ওসি রফিক আজাদীকে বলেন, কাউছার (১৬) ও শহীদ (১৯) একে অপরের বন্ধু। বন্ধুত্বের সূত্র ধরে কাউছারের বাসায় শহীদের যাতায়াত ছিল। আর এই ফাঁকে কাউছারের ছোট বোন বৃষ্টির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শহীদের। একথা জানতে পেরে কাউছার তার বোনকে শাসন করলে কাউছারের ওপর ক্ষেপে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করে শহীদ। এ ঘটনায় কাউছারের মা বাদী হয়ে শহীদকে আসামি করে মামলা করেছেন। আমরা শহীদকে গ্রেপ্তার করেছি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কাউছার হালিশহর ছোটপুল শিপিং কলোনির মো. কামালের ছেলে।
নিহত কাউছারের মা নুর নাহার আজাদীকে বলেন, তিনি হালিশহর থানা এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। কাউছার ভাঙারির দোকানে কাজ করে। কাউছারের বন্ধু শহীদুল ইসলাম শাহীন তাদের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। সে সুবাদে তার মেয়ে বৃষ্টি আক্তার জান্নাতের ( ১৪ ) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি আমার ছেলে কাউছার জানতে পারে। সে শহীদকে সাবধান করে দেয় বৃষ্টির সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখতে। শহীদ তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তার মেয়ে বৃষ্টি সবজি কিনতে ছোটপুল বাজারে যাওয়ার পথে শহীদের সাথে দেখা হয়। গ্রীণ হাউজ আবাসিক এলাকায় তারা দু’জনে কথা বলার সময় আমার ছেলে কাউছার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তাদের দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কাউছার বৃষ্টিকে চড় থাপ্পড় মারে এবং বারণ করার পরও শহীদের সাথে সম্পর্কের কারণ জানতে চায়। এসময় শহীদ কাউছারের ওপর ক্ষেপে যায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহীদ পকেট থেকে ছুরি বের করে কাউছারের বুকের বাঁ পাশে আঘাত করে। কাউছার ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। বৃষ্টির চিৎকারে কাউছারের বন্ধু হৃদয় ও সাগর এবং অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসে। তারা প্রথমে কাউছারকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে আমার বুকের মানিক আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমি শহীদের ফাঁসি চাই।